ধরো, কাল খুব ভোরে ঘুম ভাঙলো,
চোখ কচলে খবর খুলে দেখলে
সিরিয়াতে ফুল ফুটছে নতুন করে।
ইতালিতে মানুষ দু-এক কথায় হাসতে শিখছে।
সুস্থ হয়েছে বেজিং-এর বাতাস।
ভারত-পাকিস্তানের সীমানা গিয়েছে মুছে...
ভ্রমণে বেরোলে,
দেখলে নর্দমা জুড়ে বইছে কেবল বিশুদ্ধতা।
বিশ্ব জুড়ে বন্ধ হয়ে গেছে অস্ত্র উৎপাদন,
তালা পড়েছে থানা, আদালতের দ্বারে।
শাসকের দল বর্ণ ভেদান্তর ছেড়ে এক টেবিলে
চা খাচ্ছে, হাসছে, গাইছে, তাস খেলছে...
পড়তে বসেই খেয়াল হলো;
দুর্নীতি, অনাচার, হাহাকার, ধর্ষণ, তস্করি, গরিমা, কুলাঙ্গার...
সমস্ত ভাষার অভিধান হতে
এই দুরাচারী শব্দেরা আজ বিতাড়িত।
মস্তিষ্কের বদলে মন থেকে কবিতা লেখা হচ্ছে।
জ্ঞানী জনেরা অহংকার ভুলে
বিনম্রতার ভাষা শিখে ফেলেছে!
খুঁজতে গিয়ে দেখলে, আসলে হারায়নি কিছুই।
বর্ণ আছে, শুধু বিভেদটুকু নেই।
ধর্ম আছে, শুধু ধর্মযুদ্ধের ইতিহাস গেছে মুছে।
যুক্তি আছে, তর্ক আছে,
শুধু সেই ওজরে মতভেদটুকু নেই।
কথা আছে, কৌতুক আছে,
শুধু মুছে গেছে যত অপমান ছিল মিছে!
তারপরেই সাঙ্কেতিক ঘড়ির মহা বিস্ফোরণ!
ভেঙে গেলো তোমার মেলিয়াস, ইনকাস ও স্টেপিস!
কর্ণপটহ ছিঁড়ে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়লো বাস্তবিক ব্যস্ততার ভিড়!
তীব্র নীলাভ আলোর পরশে, ঝলসে গেল
তোমার বৃহস্পতির মতো দুটি গ্রহ!
তুমি দেখলে,
ভাঙা কাচের ভেতর পঙ্গু সময়, ঠিক আগের মতই শ্লথ।
আর তোমার দেখা আরেক জোড়া ভোরের স্বপ্ন মিথ্যে হয়ে গেলো...