আলোটা নিভিয়ে দাও।
আর কিছু লেখার বাকি নেই।
সোচ্চার কলমের দল কালি অপচয় করে;
করুক!
ওরা পাতার প্রতিটা সাদায়,
করছে আবর্জনার চাষ।
জোনাকীর নরম আলোর প্রভায়,
যাদের ফুটন্ত বীর্যের মতো উষ্ণতা—
বীরত্বের প্রতীক!
জন্মদুয়ার ফুঁড়ে,
যে গভীরতায় নেমে গেছে ওই টানেল ড্রিলের পায়ের ছাপ!
সেই দেশে, রুদ্ধ হয়ে এসেছে সমস্ত ধানের গলা।
বলি হয়ে গেছে সর্বশেষ বাকশক্তির ধর্ম!
বাল্মীকি বর্ণিত পুরুষোত্তমের
স্তম্ভিত বিবেক স্তম্ভ!
কশেরুকাহীন অঙ্গুরিমাল সমাজের,
উন্মুক্ত চাঁদোয়ার তলে—
অবিচার্যের দেহ-দহন!
কর্দমাক্ত অসহায় সংবিধান,
ভারসাম্যহীন অন্ধকার তুলাদন্ড!
বিগলিত মোমের ফোঁটায় প্রতিফলিত—
নির্ভয়া,
আসিফা,
প্রিয়াঙ্কা,
মনীষাদের
রক্তহীন ক্রুর দৃষ্টি!
আহ্! আর পারছি না!!
বলছি না, আলোটা নিভিয়ে দাও।
আমার ব্যর্থতায় আর আলোকপাত কোরোনা!
পারলে আমায় ক্ষমা কোরো।
হাজার হোক,
আমি তো আর নজরুল নই!