আমার ভিতর, আরও অনেক আমি’র বসবাস।
যার মন দয়ার ওজনে ভারী,
সে আগলে রাখে আমার দুয়ার।
যার ভিতর জন্মেছে কর্তব্যজ্ঞান,
তাঁকে দিয়ে হয় সমস্ত কার্য সম্পাদন।
যে ‘মানুষ’ আর ‘হোমো-সেপিয়েন্স’ এর তফাৎ শিখেছে,
তাঁকে রোজ স্কুলে মাস্টারি করতে পাঠাই।
নীতিবোধে সিদ্ধ হয়েছেন যিনি,
তিনি পেয়েছেন, মাননীয় বিচারপতির আসন।
এছাড়াও, আমার একটা পোষ্য আছে।
বুকের অতল অন্ধকূপে,
তাকে আটক করেছি।
তার শুষ্ক-শীতল রক্ত জঠরে,
একটু একটু করে বাড়তে চায়—
লালসা, হিংসা, গরিমা, স্বেচ্ছাচার, নির্মমতা...
অনুশাসনের শেকল ছিঁড়ে, পঙ্গু পা দুটো দাঁড়াতে শেখেনি।
তুমি তাকে সহজ ভেবে, আঘাত কোরোনা যেন।
পাঁজরের গারদ নাকি অতি সহজেই ভেঙে ফেলে,
ঐ শান্ত, নিরীহ, নিষ্পাপ দানবমূর্তি!