তরীর ভিতর সুস্থ শরীর সর কাঠি দিয়ে লিখছে গান।
কাষ্ঠল যত হৃদয় সুতোয়, প্রেয়সীর তাঁত বুনছে জট।
লবণের মতো বিগলিত দেহে, ভিজছে আলো, নিভছে স্নান।
থৈ থৈ করা দুঃখ কূপের, তল ছুঁয়ে ফেলে ব্যাথার তট!
ব্যাথার বালিশে ঘুমের আশায়, নীল ডুবে যায় চোখের পাতায়।
শুকনো পাতার ঠাণ্ডা শিরায়, নীল মিশে যায় কোন অজানায়।
চেনো কি তুমি, অদৃষ্টের আজান ধ্বনীর উৎসভূমি?
তৃষাতুর সুর সাধছে যেথায়, ব্রহ্ম-প্রবীণা বোষ্টুমি!
নিশ্ছিদ্রের আঁধার হতেও গতিহীন সেই অস্থিরতা।
নীরবতা বুঝি এমন স্থবির? এমনই ধূসর রক্ত তার?
এহেন কাঙাল রিক্ত কমল। এহেন শীতল অগ্নিশব!
কালহর্ষক জীবন পাথারে, হিমেল পাথর রয় নীরব।