তুমি কি দেখনি সেই রক্তিম
সুর্যটাকে ?
যার উত্তাপ ছিল প্রখর
যে চাইলেই জ্বালিয়ে দিতে পারে
এই বসুধা ।
তাকে ও তো চলে যেতে হয়েছে
সন্ধার অন্ধকারে ।
তুমি কি দেখনি সেই তারকা রাজি সজ্জিত আকাশ
যারা চাইলে গিলে নিতে পারে
এই রকম হাজার পৃথিবী
তাদের কেও তো চলে যেতে হয়
তার নিদিষ্ট সময় পরে
তুমি কি দেখনি স্নিগ্ধ ময়ি চন্দ্রটাকে
যার আলতে অন্ধকার কেও চলে যেতে হয়
যার রুপ নিয়ে লিখেছে হাজার কবিতা
কবিগন ।
সকাল বেলায় তাকেও তো চলে যেতে হয় ।

তুমি কি দেখনি সেই ফলদ বৃক্ষটা কে
যার কানায় কানায় ছিল
ফলে বরপুর ।
তার ও তো একদিন ফল শেষ হয়ে যায় ।

তুমি কি দেখনি সেই সকালের পাখিটি কে
সকাল বেলায় যে মিষ্টি কণ্ঠে তোমায় গান শুনায়
আর যখন সকাল পুরিয়ে দুপুর হয়ে যায়
তখন কেন সেই পাখিটির মিষ্টি গান
তোমার কাছে তিক্ত মনে হয়
কারন তার দেওয়া সময়টি শেষ হয়ে যায় বলে ।

তুমি কি দেখনি সেই ক্ষমতাধারী রাজাকে
যার শক্তি আর হুঙ্কারে সারা পৃথিবী কাঁপে
একদিন তো তার শক্তিটি ও শেষ হয়ে যায়
তার কথা শুনার মত শ্রোতা ও তো থাকে না
ছেয়ে দেখ তোমার নিজের প্রতি
তোমার ও তো বিদায় দিতে হয়েছে
তোমার শৈশব - কৈশোর
এখন না হয় তুমি তাকরা – জোয়ান
হয়তো এখন তোমার অনেক শক্তি
তাই বলে তো তুমি মানুষের প্রতি
অন্যায় করতে পারনা
ভুলে যেতে পারনা তাকে
যে তোমায় সৃষ্টি করেছে
কিসের এত অহংকার তোমার
কিসের এত ক্ষমতা
ক্ষমতা তো সেই শঙ্খচিলটার ও ছিল
যে হাজার হাজার মাইল উপর থেকে
তার শিকারকে লক্ষ্য করতে পারত
কিন্তু একদিন তাকে ও তো ভূপাতিত
হতে হয়েছে
তুমি কি নিজেকে তার ছেয়েও শক্তিমান মনে কর
যদি নাই মনে কর
তাহলে বন্ধ কর তোমার লোভ, হিংসা, প্রতারণা আর ক্ষমতার  দন্ধ
ভালোবাস মানুষকে আর সেই খোদার সৃষ্টিকে
যে তোমাকে সৃষ্টি করেছে
তাহলে হবে তুমি সত্যি কারের মানুষ
তা না হলে তোমার জন্মটাই বৃথা ।