শ্যামবাজারের মোড়ে গোলবাড়িটার সামনে,
হ্যাঁ, ঐ তো ঐ তো তুমি দাঁড়িয়ে আছো।
চিনতে পেরেছি, চিনতে পেরেছি তোমায়।
আজ দশ বছর পরেও, না তুমি একটুও বদলাওনি।
সেই কাঁধের ঝোলা ব্যাগ, যার মধ্যে থেকে
উঁকি মারছে আঁকার খাতাটা।
তুমি তাহলে এখনও আঁকো!
বিশ্বাস হয়না তুমি আমাকে ছাড়াও আঁকো।
মনে হয়, এই তো সেদিন আর্ট কলেজের ছাদে
রাগ করে ছিঁড়ে ফেলেছিলে খাতাটা।
বলেছিলে, ‘তোর পরশ থাকবে না যে খাতায়
তাতে আমার মূর্তিরা প্রাণ পাবেনা কোনও দিন।’
বিশ্বাস হয়না, তুমি আমাকে ছাড়াও আঁকো!
ঠিক, ঠিক করো তুমি।
আঘাতে আঘাতে জর্জরিত মেয়েটার পরশ
নাই বা পেল তোমার খাতা, কিন্তু তুমি আঁকো।
তুমি আঁকো জীবনানন্দের বনলতাকে,
শুধু তাঁর চোখের জলটা লুকিয়ো না,
সেটা ঝরে পড়তে দাও তোমার বুকে।
তুমি আঁকো, নাম না জানা নকসিখাতায়
তুমি আঁকো।।