কবি,
তুমি মানুষ হয়ে জন্মাবে বলে
মাতৃ জরায়ুতে কাটিয়েছ একটি নক্ষত্র কাল।
যে মানুষ নির্লজ্জের মতো নিজেকে
পরিচয় দেয়- অমৃতের সন্তান বলে,
অথচ রক্তের কাছে নতজানু হয়ে
পেতে চায় অমৃতের স্বাদ।
কবি,
তুমি যে মাটির গন্ধ মেখে জন্মেছিলে,
জন্মের পর দেখেছো তা কোনো দেশের ছিলনা।
আসলে দেশ বলে কিছু হয়না,
পরিবর্তে থাকে একটি কাঁটা তারের বৃত্ত।
যে কাঁটাতারের দুপাশে ধানক্ষেত খাট জুড়ে
পড়ে থাকা লাশ
প্রতিদিন ধোঁয়া হয়ে মিশে যায়
জোছনার জলে।
কবি,
যারা কবিতা লিখবো ভেবে ঘুমিয়ে পড়েছে অনায়াসে
তুমি তো তাদের কেউ হতে পারো নি
কেন তুমি সর্বনাশের কবিতা লেখো?
একপেট আগুন এনে জ্বালিয়ে দাও বসন্তের উৎসব।
প্রতিদিন সকালে যে পাখির ডানা কাটা পড়ে,
যে গাছের তলা থেকে মাটি সরে যায়,
প্রতিবেলায় যে নদীর বুক থেকে শুকিয়ে যায় জল,
আজ তারা ছাড়া সবাই একে একে
ছেড়ে গেছে তোমার দল।
কবি,
তবু ও তোমার চোখে নেই কোনো স্বপ্ন হননের সংশয়।
তাই ঘরে ফেরা অনিশ্চিত জেনেও নিশ্চিন্তে থাকো।
জানি তুমি বুঝে গেছো-
একদিন ঝড় উঠবে,
দিকেদিকে ছড়িয়ে পড়বে
তোমার কবিতার অক্ষর মালা।
তোমার রক্তের বারুদ জ্বালিয়ে দেবে অন্ধকার।
ছাই হয়ে যাবে যাবতীয় কাঁটাতার।