তোমার কাছে সেই সুখ কিনতে আসিনি,
যে সুখের স্বপ্নে কোনো পাহাড়ী প্রবাসী নদী,
তার ঢেউয়ের ছলাৎ ছলাৎ শব্দে-
ভাঙিয়ে দিয়েছে আমার শান্তির ঘুম।

তারপর থেকে আমার তাল কুঠুরি বক্ষে জমেছে তীব্র সংবেদন।
আমি থেকে গেছি চোখে এক কলস ঘুম নিয়ে।
নদী জলের তৃষ্ণায়  ভিজিয়েছি নিজেকে কুয়াশার আস্তরণে।

এরকম অনেক দাহকাল পেরিয়ে
আমি মুখ লুকিয়েছি ছিমছাম জঙ্গলে
কতবার রোদ্দুর রোয়াকে বসে দেখেছি সূর্যের পতন।
আমি জানি তোমার স্তনের গভীরে
লুকোনো হৃদয়ের প্রতিটি তন্তুতে
এখনো জমানো সেই সুখ।

তাই তোমার কাছে ফিরে পেতে চেয়েছি-
সেই চাঁদসুখের টিপ ,
যা কপালে বার বার দিয়ে গেছে আমার ছেলেবেলা।
তার অনেকটা লুকোনো ছিল মাছের মুখ থেকে নির্গত প্রতিটি বুদ্বুদে।

আমি সুখ বিলাসী হতে চাইনা।
তবুও তোমার কামরাঙ্গা যোনির অপার
আঘ্রানে আমি নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনা,বার বার নিজের অজান্তে  হাত পাতি, আর চেয়ে ফেলি
কুরিঞ্চি ফুল, একটা  ক্ষীর-সন্দেশ সঙ্গম।