আমার নিজের বলতে
এক কফিন জমিনও ছিল না।
শুধু সাথে ছিল অস্থি মাংস দিয়ে সাজান,
এক খন্ড কবিতার ছায়া।
যাকে কায়া ভেবে কতবার-
বেড়ে উঠতে চেয়েছি মালতি লতার মত,
পেতে চেয়েছি একটা আগ্নেয় উদ্ভিদ
যার বুক জুড়ে উঠে যাবো
খুঁজে নিতে পারিজাত পূর্ণিমা চাঁদ।
দুগ্ধজাত জোছনার স্বাদ পেতে ,
আমি কতবার ঢুকে গেছি
কত নিষিদ্ধ নন্দনে,
কোনোদিন সেখানে আমার জন্য
রাখা ছিল না- কোনো শাশ্বত শিল্পের উঠোন।
কত অবেলায় বালি ঝড়ে
অবরুদ্ধ হয়েছে বিরহের বেলা ভূমি।
বিষাক্ত বুদ্বুদে আমি শ্বাস নিতে পারিনি।
নিবিড়ে নিঃশব্দে দগ্ধ হয়েও
তবুও সেদিন
আমি বাড়ি ফিরতে চেয়েছি।
আদিগন্ত চরাচর জুড়ে থাকা,
আহত পাথরের সাথে
নিজেকে ঘষেছি অজস্র কাল।
হৃদয় জারণ হলেও বানিয়েছি পথ।
একদিন এই পথ শেষে দেখি-
তুমি মৌসুমী বৃক্ষের মতো দাঁড়িয়েছ
উপমাহীন পত্রের পংক্তি ভরে-
সাজিয়েছ আমার বিষাদ কুসুম।
আর আমিও অপরাজেয় প্রেমিকের মতো
বলে উঠেছি - "এতদিন কোথায় ছিলে" ?