মধুছন্দা,
যে হাত দিয়ে তুমি আমায়
ভালোবাসতে শিখিয়েছিলে
সেই হাতে আমায় দুঃখ চিনিও না
আমি দেখেছি ,
শুধু সবুজ পাতা কে ভালোবেসে
একে একে যে প্রেমিকেরা
ভেসে গিয়েছিল
অরণ্যের ঢেউয়ে,
তাদের মধ্যে কেউ কেউ ছাই হয়ে গেছে
দুঃখের দাবানলে।
কেউ বা নিখাদ সোনা হবে বলে,
মুখে তুলে নিয়েছিল
জ্বলন্ত অঙ্গার
তারাও দগ্ধ হয়েছে ধাতব আগুনে।
যে চতুর্দশী রাতে
তুমি আমায় দেখিয়েছিলে
অচ্যুত অরুন্ধতী,
অসংখ্য নক্ষত্র নকশার মাঝে
এক পশলা দুঃখ নেমে এলে
ঝাপসা হয়ে যাবে সেই রাত্রির মুখ ।
মনে করে দ্যাখো,
তোমাকে প্রথম ছুঁয়ে যাওয়া
এক বৃষ্টির মধ্যাহ্নে
সহস্র সুখের কণিকা মিশে
গিয়েছিল আমার রক্তে
দুঃখের সংক্রমণ এলে
হলুদ হয়ে যাবে সেই রক্তের রঙ।
মধুছন্দা,
তোমার মনের আকরে যে মধু
আমি খুঁজে চলি
অক্লান্ত মৌমাছির মতো
তাতে তুমি মিশিও না দুঃখের স্বাদ।
স্নেহের সবুজ ঘাসে আমি নিশ্চিন্তে
কাটাতে পারি আরো লক্ষ কোটি কাল
মধুছন্দা,
ভেবে দ্যাখো,
দুঃখের শাখা যেন
হিম ঋতু কালের মত খুব দীর্ঘকায়।