তুমি,এভাবে চলে যেওনা কুসুমকলি,
তোমার রিক্ত শরীরে জড়িয়ে আছে
শোকের চাদর,
সেই চাদরের সাথে তুমি মিলিয়ে যেওনা শূন্যতায়।
জন্মান্ধ পুরুষ আমি,
তাই বারংবার সিক্ত হয়েও আমি দেখতে পাইনা সেই নদীর উৎস।
যে নদী উৎসারিত হয় তোমার নাভি মূল দেশে।
কথা হয়েছিল,
এক ফাল্গুনী রাতে,
হেঁটে যাবো দীর্ঘ এই অসুখের রাজপথ।
বেদনার সীমান্ত অতিক্রম করে
উড়িয়ে দেবো শঙ্খ- চিল মেঘ।
ঢেউয়ের উপর ভাসিয়ে দেবো
সুখের মান্দাস।
কুসুমকলি,
তুমি অসমাপ্ত রেখে যেওনা আমার এই
উপেক্ষিত উপাখ্যান।
মিলিয়ে যেওনা শূন্যতায় ।
পারো যদি মিটিয়ে নিও ভুলের হিসাব।