তোমাদের কাছে কৈফিয়ৎ দিতে হবে বলে
আমি চাইনি কোনো ছায়া মায়া ছাদ।
ভেবেছিলাম,
সময়ের নিলাজ নদী পথে ভেসে একদিন করবো সমুদ্র সঙ্গম।
চন্দ্রিমা রাতে এঁকে নেবো সাদা বালি ঘর।
তারপর একদিন তোমরা বলে উঠলে
নোনা জলে নষ্ট হয়- বুকের গভীরে থাকা
সোনার সিন্দুক।
সেই সিন্দুক বাঁচাতে চেয়ে দিয়েছ ছাদের বিশ্বাস।
তাই আমার চারিদিকে প্রশস্ত দেওয়াল তুলেছো।
এখন এই দেওয়ালের দীর্ঘতা আমাকে আচ্ছন্ন করে রাখে।
দেওয়ালের ভারে মাথা নিচু হয়ে যায়।
এসবের পরিবর্তে,
আমি তোমাদের থেকে চেয়েছিলাম
এক খন্ড চাঁদের আশ্বাস।
মেঘ -সমুদ্র জলে যে চাঁদ-
আমার সাথে করেছে রাত্রিযাপন ,
তাকে ছাড়া আমি ঘুমোতে পারিনা।
তাই প্রতি পূর্ণিমা রাতে যখন রাত্রির তলদেশে সবাই ঘুমিয়ে থাকে,
আমার এই মৃতবাস চোখে ঘটে যায়
জ্যোৎস্না বিয়োগ।