এই সেই শীতল পাটি ঘাট,
জন্মান্তরের পথ ঘুরে
সেই শুধু জানে-
চির স্থবিরতার মানে।
এই সেই ক্লান্তশ্বাস প্রাণ,
যার স্তব্ধতা ভেঙে যায় আজানের স্বরে।
অকপটে অভিন্নতা পায়,
ভাসানের গান বাজে বিষন্ন প্রহরে।
উড়ে গেছে অভিসারী পাখি,
করে গেছে মুহুর্ত যাপন।
শুধু রয়ে গেছে ঢাল বেয়ে সাজানো,
নির্বাক প্রস্তর যত।
সময়ের আস্তরণে ঢাকা,
যেন পুরাতন অভিমানী ক্ষত।
এই সেই নির্বাসিত ঘর।
যার দরজা খুলে অনায়াসে ঢুকে পড়ে
কত শত অপসারী জন।
সারাটা জীবন জুড়ে যারা করে গেছে শূন্যের বিলাস।
তাঁরা নির্দ্বিধায় হেঁটে চলে,
বেদনার স্পর্শকতলে।
গোত্রহীন গোধূলিতে পেতে চায় মুক্ত পরবাস।
এই সেই শীতলপাটি ঘাট,
সেই শুধু নদী টিকে চেনে,
সেই নদী যত কাছে আসে,
মরমী উজানের টানে।
পাললিক প্রেম যেন পূর্ণতা পায়,
রুদ্ধশ্বাস প্রতি শিহরণে।
কোনো এক পুরাতন প্রেমিকের মত,
স্নেহমাখা প্রবাহিনী বুকে লুকোয় নিজেকে,
স্রোতের শিকরে সিক্ততা খুঁজে অবিরত।