((শ্রদ্ধেয় সৈয়দ শামসুল হকের লেখা 'বুকঝিম এক ভালোবাসা' উপন্যাসের মধ্যে যে এক মন কেমন করা সুর রয়েছে সেই সুরে আবিষ্ট হয়ে এই সামান্য প্রয়াস।এই মহান সৃষ্টির স্রষ্টার প্রতি আমার অসীম শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি।
এই কালজয়ী উপন্যাসকে অসাধারণ
নাট্যরূপ দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই শ্রমণ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর সাথী দের।এই নাটক দেখার সৌভাগ্য হয় আমার সব চেয়ে কাছের মানুষটির সৌজন্যে। তাঁর প্রতি রইলো আমার অন্তহীন ভালোবাসা ।))
তোমাকে ভালোবাসতে চেয়ে, আমি
ভালোবেসে ফেলি পূর্ণিমা চাঁদ।
তবু অনায়াসে লিখতে পারিনা কোনো অনবদ্য গান।
দিতে পারিনা কোনো সুরের শিহরণ।
আমার দুচোখ দিয়ে শুধু বয়ে যায় অপ্রাপ্তির প্লাবন।
আমি ঘুমোতে পারিনা।
গহীন কুয়াশা যখন মাঠের পর মাঠ জাল বিছিয়ে রাখে,
আমি সেখানে একলা দাড়িয়ে থাকি।
আর পাতায় পাতায় সাদা জল জমিয়ে রাখি।
আমি জোছনা কে আমার প্রিয় জন ভেবে সমস্ত আয়োজন করে দেখেছি-
নীরব কথন শেষে পড়ে থাকে শুধু বিয়োজন টুকু।
আমি তো কোনো মহান প্রেমিক নই,
আজ অবধি পাইনি প্রেমের প্রগাঢ় প্রশ্রয়,
নিঃশব্দে সুর বাঁধব বলে,
আমি সারিন্দা বাজিয়ে দেখেছি সে সুর শুধু নিয়ে আসে জন্মান্তরের দহন।
অজ্ঞাত নীল বিষে ছিন্ন হয় আমার কণ্ঠ।
আমি বুঝতে পারিনা, কোথায় গিয়ে জমা হয় আমার এই জল পড়া বুকের এত হাহাকার,
এই আকাশ সমান ক্ষতি।
একান্তে আয়নার সামনে এসে দেখি,
সেখানে বুকঝিম এক ভালোবাসা নিয়ে আজও বসে থাকে সেই মনসুর বয়াতী।।