বাসনার ঠিকানা হারিয়ে
বসে থাকি জানালার ধারে,
নিঃশব্দে খুঁজে চলি কালকল্পরাগ-
বাঁধা ছিল ,এক বটগাছ দেহে।
বাড়ির অনতিদূরে,
একাকী দাঁড়িয়ে ছিল বহুদিন ধরে ।
অসংখ্য ঝুরি নিয়ে লুকোচুরি ,
খেলে গেছে কত কাল।
শরীর আকাশ হয়ে,
মিশে ছিল মেঘেদের সাথে।
আর দৃপ্ত শিকড় খানি ,
বয়ে গেছে মাটি মোহ দেশে ।
সবুজ বুকের মাঝে ,
লেখা ছিল দীর্ঘ ইতিহাস।
নৈবেদ্য সাজানো ছিল,
আপন হৃদয়তলে।
কবে কোন কালে-
এই ক্ষয়িষ্ণু জীবনের
অশ্রুজলভারে,
ক্লান্ত কোনো নামহীন জন ,
নিশ্চিন্তে করে ছিল অমানিশিযাপন ।
কত পাখি এনে ছিল ছায়া খড় কুটো।
মায়ার চাদর খানি আঁকা ছিল-
সহস্র পল্লবে।
তারপর কেটে গেছে কত শত কাল।
স্পৃহার আগুন জ্বেলে -
আমিও বেরিয়েছিলাম
দীর্ঘ অভিযানে ।
আজ এতো কাল পরে
ফিরে এসে দেখি -
অদম্য লালসার বিষে,
চিহ্নটুকু মুছে গেছে তাঁর
শূন্যতা পড়ে আছে
মারণ মজলিশে।
শুধু বিগত সময় খানি ,
আজ ভেসে ওঠে বাতাসের গায়ে ।
দৃষ্টির অতল থেকে উঠে আসে-
এক বিন্দু জল,
জমা থাকে বিবর্ণ ঘাসে ।