আমার এই ভাঙা স্বর নিয়ে
তোমার সাথে আমি গাইতে পারিনা ।
তাও আমি স্বরগ্রামে মুগ্ধতা খুঁজি।
প্রতি রাতে যখন তুমি-
কুসুম কাঁথা দ্বীপে শুয়ে গান গাও,
বুকের পশম দিয়ে আমায় আগলে রাখো,
তখন আমার নিরুত্তাপ দেহ-জল
শুধু তোমার গানের উষ্ণতা চায়।

সহসা তুমি বালিয়াড়ি হাঁসের মতো ডানা ঝাপটাও,
শত স্পর্শী চুম্বনে ডেকে আনো স্রোতের প্লাবন।  
বালিশের উপত্যকা বেয়ে পথে নেমে আসে আমার অসংযম।
বারুদের গন্ধে যতবার আমার দম বন্ধ হয়ে এসেছে,
ততবার তুমি তোমার লেবু রস ঘ্রাণে আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছ।
আমাকে শিল্পী ভেবে
সমুদ্র সমতট জুড়ে সাজিয়ে রেখেছো রঙ পেনসিল ।

কিন্তু বিশ্বাস করো,
আমি আর যাপিত জীবনের নীল ক্ষেতের ছবি আঁকতে চাইনা
সে ক্ষেত তো  বিরামহীন যতিচিহ্ন দিয়ে বাঁধা।
রঙের যোজন বিয়োজন আমি আর চাইনা।
তোমার সাথে সুরের দ্যোতনা করবো
বলে,
স্মৃতির সিঁড়ি কাঠ ধরে  করে চলেছি একটা বাঁশীর অভিলাষ।
বহুগামী পথ ছেড়ে নেমে এসেছি সুরের মোহনায়।
আমি তো জানি,
কত বার আমার অযাচিত আবদার তুমি
অনায়াসে মিটিয়েছ।
এবারও কি পারো না আমাকে এসব রং তুলি ফেলে,
আমাকে একটা মেঘ মন্দ্র বাঁশী এনে দিতে?