(১)
সেদিনের মতো আজ ও রাস্তার মোড়ে জড়ো হয়েছিলাম,
আমরা অনেকেই -তবে সেদিন খুব রোদ উঠেছিল।
আজ দারুন বৃষ্টি-কবি সেই বৃষ্টি তে ভিজেছ তুমিও ।
ধুয়ে গেছে সব চেতনার রং ,তাই পান্নার রং সবুজ হতে পারেনি।
ওই যে রাস্তার ওপাশে থাকা পাগলটা -
ও গোলাপ চিনতে পারেনি,
না পান্না ,না ছুঁই, না গোলাপ-কিছুই চায়নি ।
ও সাদা ভাত চেয়েছিল ।
কবি, তোমার ছবিতে জড়ানো ছিল সাদা জুঁই ফুল ।
তাই হয়তো গুলিয়ে ফেলেছিলো ।
ওর কালো শরীর টা এখনো সাদা রঙের মায়া কাটিয়ে উঠতে পারেনি ।
পঁচিশে বৈশাখ হোক বা আজকের বাইশে শ্রাবন ,
কবি তুমি জানো কি ?পাগল টা এখনো ভাত পায়নি ।
(২)
কবি তুমি মুখ লুকাও এখনো আসেনি সুদিনের আকাশ।
চারিদিকে সব মাথা কাটা লাশ উলঙ্গ বিলাস করে চলেছে ।
আজ তো তোমার দিন তাই তুমি কবিতায় ঢাকা পড়েছো ।
হয়তো বা রয়েছ বই এর পাতায় শুধু ছবি হযে ।
কবি,বিচারের স্রোতঃপথ রুদ্ধ করেছে মরুবালুরাশি ।
নুন আর পান্তার লড়াইয়ে নত হয়েছে শির ।
তোমার কাছে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি আর নিজের মনে গোপন সন্ত্রাস।
জ্ঞান অবজ্ঞান মুছে মুখ থুবরে পড়েছ তুমি সজোরে,
পৃথিবীর পুস্পিত শয্যায় ধরেছে আগুন।
হে আচার্য্য ভস্ম তুমি সময়ের ঘরে।
তোমার শান্তিনিকেতন ঢেকে গেছে বিষাক্ত ধুলায়।
নিশব্দে রচে ওঠে জীবনের ঘৃণিত অধ্যায়।