উহ্, অসহ্য এ আঁধার ,
বায়ুমন্ডল ঘিরে পুরু চাদরের এক ঘন আবরণ,
কোন ফিসফিসানি নেই,
নেই বাতাসের হিসহিস,
তরু লতারাও ভাষা হারিয়ে – বধির ,
এ যেন এক মৃত্যুপুরী ।
কত সময় যে পেরুল –
তার কোন হিসেব নেই ।
সহস্র দিন,মাস, বছর –
এ দীর্ঘ রজনীর উদরে ডুব দিয়েছে ।
আর কত শতাব্দী সোনা-রুপোর কাঠির ছোঁয়ায় ঘুম পাড়াব সূর্য সন্তানদের ?
আরও কত লক্ষ-কোটি বছর আগলে রাখব ওদের আঁচলের তিমিরে ।
ফ্যাকাশে চামড়ার অতলে বিবর্ণ লোহিতের অবিরাম ছোটাছুটি এখন স্তিমিত,
এক একটি কোষের মৃত্যুর সাথে ক্ষণেক্ষণে যুদ্ধ।
নও জোয়ানদের হৃদপিন্ডের গতি এখন নাড়ী সদৃশ ,
ছোট্ট শিশুর মতো জাতির সূর্য সন্তানরা এখনও ঘুমিয়ে ।
উঠে পড়ো বাছারা –
তোমাদের জেগে ওঠার কি কোন তাড়া নেই ?
শিরদাঁড়ায় কি ঘুণপোকাদের আবাস ?
ওরা কি বীজাণু ছড়িয়েছে মজ্জা আর অস্থিতে?
হেমলক কি তোমাদের তারুণ্যকে জলবৎ করেছে ?
না কি তোরা পণ করেছিস, ঘুমুবি অনাদিকাল।
হে প্রভূ –
অভিশপ্ত রজনীর দীর্ঘ যাত্রার সমাপ্তি হোক,
কালপুরুষ এই সূর্য সন্তানেরা জেগে উঠুক,
তারুণ্যের দাবানলে আবারও প্রজ্জ্বলিত হোক অগ্নিদেব,
পুড়ে ছাড়খাড় হোক ঘন কালো এই মরণ চাদর।
হে নতুন সূর্য,
আলোকিত করো দেবালয়,
পুণ্য করো এ ভূমি আর ভূমিপুত্রদের,
আজকের তরে একটিই প্রার্থনা –
পূজিত করো হে পুণ্যে,
সৃজন সুখে নত হও শূন্যে।