নীল, নী-ল, এই নী-ল,
ওঠো-ওওওও, ওঠো নীল,
আস-ওওওও, বাইরে আস-ওওও,
সুনীল জোছনা আজ বাইরে-
আর তুমি একলা ঘরে- এসো-ওওওও !
নীল জোছনায় আজ স্নান করব।

কে?  কে ডাকে আমায় ?
অমন মায়াবী সুরে কে ডাকে ?
ঐ তো আমার রক্ত মাংসের শরীর নিথর-
নিস্তব্ধ এ রজনীর বিষ দংশনে -
কী নিষ্পাপ শিশুর মতো ঘুমিয়ে !

এসো-ওওও, এসো নীল,
আমি যে তোমার অপেক্ষায়,
আমার হাতটা ধরো,
জোছনার তরঙ্গমালায় আজ-
ভেসে বেড়াব দুজন শ্বেত পায়রা হয়ে।

উহু, ভাসব আজ সুতো কাটা ঘুড়ির মতো,
ফেলে আসা দুরন্ত কৈশোরের সেই খোলা-
আকাশের নিচে খেলার ছলে অবিরাম ছোটা,
কালের স্রোতে হারিয়ে ফেলা রাই হবে তুমি ?
না কি তুমিও কুয়াশার মতো মিলিয়ে যাবে ?

নীল, তুমি কি সেই দুরন্তপনা ভালবাসতে ?
আমাকেও আজ শেখাও না, শেখাবে না ?
চল, জোছনার রঙ আজ সারা শরীরে মাখি -
তুমি হবে শ্যাম আর আমি হব রাই।
সে কি তোমার বাঁশি নেই,হারিয়ে ফেলেছ বুঝি ?

কালো মেঘে হারিয়ে গেল হঠাr নীল জোছনা,
রাই, রা-ই তুমি কোথায় ? তুমি কি হারিয়ে গেলে-
জোছনার মতো –আমায় ভাললাগার আবির মাখিয়ে ?
আমিও তবে ছেলেবেলার সুতো কাটা ঘুড়ির মতো -
আজ মিলিয়ে যাব -  দূ----র আকাশের ঐ নীলে।।।

১২.০৫.১৮