ফুলফোটা জোছনা রাতে যুবকের মৃতদেহ পাওয়া গেল সড়কের পিচ-ঢালা বিছানায়।
গালে খোঁচা-খোঁচা দাড়ি, এখনও কৈশোরের সারল্য যায়নি ঘুঁচে চিবুকের আদলে। আধ-ফোটা হাসি এখনও করছে বয়ান, যেন মৃত্যু কত প্রার্থিত মুক্তি!
চাঁদের আলো আরও ঘন হয়ে এলে, ঘন নিঃশ্বাসে দেখলাম,
আমার সামনে শুয়ে রয়েছি আমি, মৃত স্পর্শে নিথর. . .বুকের কাছটা যেন খুবলে নিয়েছে কিসে! ভেতরের দগদগে ক্ষতগুলোর কিছু চেনা, কিছু বিস্মৃতির শেওলা জড়ানো। হাতে তখনও ধরা রয়েছে অসংখ্য অসম্ভব স্বপ্নের হিসেব-নিকেশ, কবিতার খেরো খাতা।
গলার কাছের নীলচে কালো দাগ যেন অশ্রু পিয়ে পিয়ে নীল-কন্ঠ হার।
অশরীরি, আজ থেকে অশরীরি আমি! যাবতীয় দুঃখের করাত আজ থেকে ধারহীন ভোঁতা। পেট আর তলপেটের নিচের ক্ষুধায় রুগ্ন নই আর!
পরদিন পত্রিকার শেষ পাতায় তিন লাইনের
সাদাকালো কলাম, অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার। বয়স আনুমানিক সাতাশ. . .