অযত্নে থাকা শিলালিপিগুলো কাঁদে
প্রত্ন-শহরে লেখা থাকে ধার বাকি।
মিশে আছো কত অলিখিত অধ্যায়ে
মাটির তুলিতে তোমাকেই আঁকাআঁকি।

হেঁটে গেছো তুমি আর্য আসার পথে
ছুঁয়ে গেছো কত সভ্যতা সীমারেখা।
সে পথেই আমি হেঁটেছি তোমার সাথে
তারপরে আর দাওনি কখনো দেখা।

সুপ্রাচীনা গো, সুপ্রাচীন কারুকাজে
জীবাশ্ম মেখে বানিয়েছো রঙঘুড়ি।
প্রত্ন-বালিকা, আজ বুঝি নেই মনে
আলো-ছায়া প্রেমে নৃতত্ত্ব লুকোচুরি!

ধ্বংস যেদিন নেমে এলো চারিদিকে
আমিও বাঁচবো- বলেছিলে তুমি কেঁদে!
কত সভ্যতা এলো আর চলে গেলো
তোমার গন্ধ আজও পাই ঋগবেদে।  

এই তো সেদিন দু' ফোঁটা অশ্রু দিলে
বিপাশা, সিন্ধু, শতদ্রু ঢেউ জলে।
কালের বালিশে ঘুমিয়েছো সেই কবে
লীন হয়ে গেছো ছলে-বলে-কৌশলে।