অমানিশার শেষে প্রভাত জুড়ে
দিনমণির জড়তার ভাঙন।
বিভাবরীর বিভীষিকা মুছে ফেলে
স্পন্দিত পবনের কাঁপন।
ধরণীর দিকে অপলক মুগ্ধ দৃষ্টি,
ইতি টেনেছে রজনীর নিঃশ্বাসে।
ছড়িয়ে দিয়েছে অকৃত্রিম ভালবাসা,
হৃদয়ের নিগূঢ় বিঃশ্বাসে।
পৌষের ভেজা ক্যাম্পাস আজ
শুকনো কিশলয়ের উড়োচিঠিতে;
পেছনের কুয়াশাচ্ছন্ন দিনগুলোর কথা;
লিখে চলেছে নব সমীরের লেখনীতে।
ছায়াময়ী কান্তার উষ্ণ কোলে
নতুন জীবনের চঞ্চলতা।
তাই দেখে কেটে গেছে
তন্দ্রাচ্ছন্ন প্রকৃতির জড়তা।
আকাশের চোখে নেই কোন
বর্ষণমুখর মুহুর্তের স্বপন।
মেঘের সাথে আড্ডায় মুখর
হাস্যজ্জ্বল ঐ তপন।
আলো-আধারীর সুখ-দুখের
আসরে নিমন্ত্রিত ফাগুন।
শিল্পী বিহঙ্গদের কন্ঠে জ্বলছে
প্রিয় সুরের আগুন।
প্রসূনের ভাস্কর্য যেন প্রাণবন্ত হয়;
ঘ্রাণ ছড়িয়ে দিয়ে সমীরণে।
উত্তেজনায় বাসন্তী বিকেলগুলো
হয়ে পড়ে আনমনে।
তারপর হারিয়ে যাবার ক্ষণে
ফিরে দেখে প্রচ্ছায়া গোধূলী।
ঘোমটার আড়ালে লুকোবার আগে
লালিমা ফোটায় সান্ধ্যের কলি।