আমি ভালোবেসেছিলাম তোমার চোখের নির্বাক চাহুনি,
ভালোবেসেছিলাম তোমার কম্পিত ঠোটের
ভূবন ভুলানো অমলিন হাসি।
চেয়েছিলাম তোমার আকাশের এক টুকরো নীল হবো,
কিংবা তোমার উঠোনের অলস বিকেলের সোনা রোদ।
চেয়েছিলাম অপলক দৃষ্টিতে তোমার শীতল সৌন্দর্য্য,
আর তোমার নির্মল কেশরাজির মিষ্টি ঘ্রান নিতে।
তোমার মোহে আচ্ছন্ন হয়ে আমার জীবনের শেষ সূর্যাস্ত
কিংবা তোমার কোলে মাথা রেখে আমার অন্তিমযাত্রা।
আর তুমি?
ভালোবাসার প্রচন্ড আক্রোশে নিক্ষেপ করলে আগুন,
ভয়াবহ প্রবল উত্তাপে ভৎস্ম হলো নিষ্পাপ ভালোবাসা।
ধ্বংসযজ্ঞে নগরী পুড়ে হলো মহাশ্মশান।
অতঃপর?
আকন্ঠ মদ্যপান আর নির্ঘুম রাতের সঙ্গী নিশাচর,
গুমোট অন্ধকারে মলিন কাপড়ে জড়ানো জীর্ন দেহ।
প্রেয়সী, এখন আর তোমার চোখে খুজিনা নীল-মদ,
স্বপ্নে রমনীরূপে সাজেনা কোন স্বপ্নবিলাসী নারী।
চোখ বুঝলেই দেখতে পাই শুধু ধ্বংস হওয়া লীলভুমি,
কখন যে এই গোলক ধাঁধায় আটকে গেলাম, জানিনা।
তবে আমি এখন জানি,
ভালোবাসার দাসত্ব নয় স্পর্ধাই সার্থক জীবন।
হয়তো একদিন দেখা যাবে শ্যামল শশ্যক্ষেত্র,
ধ্বংসস্তুপ ছেয়ে যাবে সবুজের সমারোহে।
তখন কি সভ্যতা বিশ্বাস করবে?
এর নীচেই সমাহিত আছে ভালোবাসার সুন্দর নগর।