নিশীথ শশী ছড়ালো কিরণ,
গন্ধমাখা বেলীরা যেমন,
তিক্ত ধরনী সিক্ত এখন
অালোর বিচরণ।
গগন জোড়া তারার মেলা
মিটি মিটি আলোর ভেলা,
নীরদ ভাসে কিরন কোলে,
ধূসর অন্ধকার।
বিলের ধারে জোনাক পোকা
মশাল মিছিল করে একা,
বুক ফাটা তার নীরব আর্তনাদ
ধরণী কি তবে পাপাচারের জীর্ণ অভিশাপ?
শিশির ফোটা আকাশ চুয়ে
পলে পলে পড়ছে বেয়ে,
দুঃখ যেন পোক্ত হলো,
দুখিনী দোহিতার।
অশ্বডিম্ব হস্তে নিয়ে
হোমরা-চোমড়া ছুটছে ধেয়ে,
লজ্জাবতী গাছটাও যেন
নির্লজ্জ হয়ে ঠায় দাড়িয়ে।
তবুও যেন নেইকো থেমে
নষ্ট জাতি রসাতলে,
লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে
বুক ফুলিয়ে যাচ্ছে চলে।
রাতপরীদের হাট জমেছে
আবাল-বৃদ্ধ দর কষেছে,
প্রাতঃ হতেই ঘৃনা ভরে
বেশ্যা বলে নিন্দা করে।
পেটের দায়ে কাক পাখিটাও
নোংরা খাবার মহোৎসবে,
পেটের দায়ে বেশ্যারাওতো
জাত ভুলে আজ খদ্দের ধরে।
অন্ধকারে বদ্ধ ঘরে
হয়তো এবার মত্ত হয়ে
হায়েনার দল পালা করে,
তাজা শরীর রক্তাক্ত করে।
ছি! লজ্জা কাপুরুষ
নপুংসক তুমি
ঘৃনা তোমায় অভক্তি ভরে,
একবারও ভাবোনি?
নারীই তোমায় গর্ভে ধরে।