বিষাদের রাত্রি গ্রাস করিয়া সোনালী প্রভাত দ্বারে,
শূন্য হৃদয়ে অপ্রাপ্তির ব্যাথা পুনঃবার কাঁদিয়া মরে।
আজি হৃদয়ে ব্যাথারা কেন উঠিল জাগিয়া আবার,
ব্যাথা নয়, ঝুলিতে আছে শুধু ভালোবাসা বিলাইবার।
রবির কিরন, সোনালী বরন, মায়ামাখা ধুলিকনা,
পাখির রবে মুখরিত প্রাতঃ, শিহরিত দূর্বাকনা।
নির্মল পবন ছুটিয়াছে অগ্রে, ছুঁইয়া বৃক্ষ লতা,
তবুও যেন হৃদমাঝারে বিষাদের মালা গাঁথা।
মাঝিরা ছুটিয়াছে পাল লাগাইয়া স্রোতস্বতীর বুকে,
বংশীবাদক রাখাল ছেলেও ধেনু লইয়া মাঠে।
মুক্ত কেশে রাই কিশোরী আজ যেন বাধনহারা,
নরম পায়ে নিক্বন স্বরে ছুটিয়া চলিতেছে তাঁরা।
পল্লী বধূদের দল বাধিয়া নদীতে যাইবার ভীড়,
কৃষ্ণ বালকের বংশী শুনিয়া রাধিকা নয় অস্থির।
অালোর ঢেউয়েতে উঠিল মাতিয়া মল্লিকা-মালতি,
ভ্রমর আসিয়াও আনমনে হইলো পুষ্পেরো সারথী।
তটিনীর বুকে মাতাল হাওয়ায় তরঙ্গ দিলো যে দোল,
গগন জুড়িয়া নীরদ ভাসিয়া ক্ষনে ক্ষনে গর্জন।
হয়তো এখনই নামিয়া আসিবে জলেরো স্রোতধারা,
বিষাদ বুঝি মুছিবে এবার ঘুুচিবে মরুর খরা।