মাননীয়, এই দলিল ষড়যন্ত্রকারীর নামে।।
যার পরিচয়ে পাই কুখ্যাতি
যে ব্যাভিচারী, ধুর্ত,নষ্টামীর অধিপতি
যার পূজামন্ত্রে সর্বনাশ,
যার রক্তাত্ত লোলুপ দৃষ্টিতে
প্রাণের পীবর গ্রাস
যাকে শ্রদ্ধার পেছনে থু থু ছিটিয়ে
অভিনন্দিত করে প্রণামে।।
মাননীয়, এই দলিল ষড়যন্ত্রকারীর নামে।।
বামপার্শ্বের প্রথমাক্ষর যার বিরোধী
তথাকথিত “সাধুপুরুষ” আজ কাঠগড়ার অপরাধী
ঈমানকে করে খেলার পুতুল – কোরআনকে অপমান
সীমালংঘনে ছিল তার কিছু নিন্দুকের অবদান
অহংকারীর ভ্রান্ত চাদর – নগ্নীকা হয় ক্রমে।।
মাননীয়, এই দলিল ষড়যন্ত্রকারীর নামে।।
স্মরণ করি ইডিপাসের ঝলসে যাওয়া চোখ
নিস্প্রাণ ভাসে নীল নদ বুকে – ফেরাউন রাজার লোক
আবু-লাহাবের পায়ের নীচে জাহান্নামী আগুন
আত্মহননে ব্রুটাস খোঁজে প্রায়শ্চিত্তের ভ্রণ
মীরজাফর আর ইদি আমিনের সিংহাসনে হাহাকার
ত্রিশ বছর পরে শুনানি – “আল বদরের বিচার”
তাদের সাক্ষী অভিশাপ আসে আখিরাতে পরিণামে।।
মাননীয়, এই দলিল ষড়যন্ত্রকারীর নামে।।
হাবিয়াহ দোজখের চির অধিকারী আজ তাকে দেয়া হোক
রক্ত-পূঁজ-শ্লেষ্মা-বিষ্ঠা, তার খাদ্যরূপে আসুক
গলিত লাশের গন্ধ উঠুক, যখন সে বলে কথা
এসিড পুকুরে স্নান করে জানুক সকল মৃত্যু ব্যথা
ক্ষমা-করুণা-দয়া-মায়ার রোগী হয়ে সে কাঁদুক
ধ্বংসের পরে গড়ুক- আবার মৃত্যুর পরে বাঁচুক
কাল নাগিনীর দংশন স্বাদ ভোগ্য হোক প্রতি দমে;
মাননীয়,এই দলিল ষড়যন্ত্রকারীর নামে।।
মনুষ্যত্বহীন সেরা সৃষ্টির দলিল দিলাম জমা
এই অধমের দায়িত্ব শেষ, আমায় করুন ক্ষমা।।
নোটঃ 'পুনরুত্থানের পর্বে মুনকার নাকির দুই ফেরেশতা আসবেন মানুষের ফিরিস্তি জমা দিতে মহান স্রষ্টার কাছে। এরকম একটি দলিল যা হতে পারে কোনো এক ষড়যন্ত্রকারীর নামে।'