শত ব্যাস্ততার দগ্ধ আগুনে পুড়ে
যখন আসি তোমার স্নিগ্ধ মাখা হাসির ছায়াতলে
তখন মনে হয়; এই ব্যস্ততার সৌন্দর্য বুঝি
তোমার হাসির মাঝে লুকিয়ে ছিল।।

তুমি আমার ঘর্মাপ্লুত মুখে এনে দিলে সজীবতা
আঁচলে মুছে দিলে সকল ক্লান্তি; অবসাদ।।

বাস্তবতার সমুখে যখন পরাজিত তবুও সংগ্রামরত আমি
তোমার স্বান্তণাকে মনে পড়ে তখন;
কেউ জানে না, জানি আমি; ঐ বাণী নয় স্বান্তণা
কোমল হাসিতে উচ্চারিত এক দৃঢ় প্রেরণা।।

রুক্ষ মানসিকতা নিয়ে ফিরি যখন ঘর
তোমায় না পেলে শান্ত হয়না মন।
অসুস্থ সমাজ, অসুস্থ মস্তিস্ক আমার করেছে কিংকর্তব্যবিমুঢ়;
হুংকার দিয়ে তছনছ করতে চাই।।


তবু তুমি দাও বাধা – মাধুর্যতায় করো শান্ত
হতে বলো আমায় এক মহৎ মানুষ।।

তোমার কাছে শিখি সেবা মানুষের কর্ম
সেবা পরম আনন্দ, মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব, স্রষ্টার দাসত্ব।।

তুমি আছো কাছে – মনের মাঝে – দেহে মিশে, কথার সাথে
আমার জীবন অস্তিত্ব ইতিহাসে।।

তোমায় দিয়েছি শত বেদনা
তুমি কেঁদেছো – অভিশাপ দাওনি
ফেলে দাওনি এই পাপী কাঙালকে।
হাত ধরে তুলে এনে দিয়েছো নতুন স্বপন, নতুন আকাঙ্খা;
হিত কামনায় গড়ে ওঠার নতুন প্রেরণা।।

তোমায় ছেড়ে বহুদূর যেতে পারিনা
পিছুটান আমায় তোমার কাছে আনে
তোমায় ছাড়া আর কাউকে বোঝাতে পারিনা
কেউ বুঝেনা।।

তোমায় দিতে পারিনি কিছুই
শুধু নির্লজ্জের মত নিয়েছি, স্বার্থপর আমি
তোমার মুখে হাসি ফোটাতে পারিনি;
তবুও তুমি হাসো, এক স্নিগ্ধ লাবণ্যের হাসি
শত ব্যথার চাপে এক আশার আলোর হাসি।।

ঘন আঁধারের মাঝে খুঁজি
হাতড়ে কিংবা হোঁচট খেতে খেতে কোন কাঙ্ক্ষিত পথ
তখন প্রদীপ জ্বেলে তুমি এলে পথের সন্ধান দিতে
হাতে দিলে সেই জ্বলন্ত প্রদীপ।।

অভাগা আমি, বুঝিনি সেদিন
প্রদীপের মাঝে তোমায় চিনতে বলেছো।।

নিঃস্বার্থ তোমার ভালোবাসা
আর আমার জড় হৃদয়, ভালবাসায় অস্বস্তিবোধ করে
তবুও; একফোঁটা অশ্রু-
আমায় ভালবাসতে শিখিয়েছে।।



নোটঃ- "এই কবিতাটি উৎসর্গ করলাম আমার মাকে, মাদার মেরীকে, মা আমেনাকে, আমার দেশকে, আমার মাতৃভাষাকে,সকল শহীদের মা দেরকে এবং যারা মা না হয়েও মাতৃত্ব দেখিয়েছেন তাদেরকে।"