মন্দ্রধ্বনি ভেসে আসে
অন্ধজনের মৃত্যুতে
কেউ ছিল না চারপাশে – কেউ দেখেনি আড়াল থেকে।।
সাক্ষী নেই বিজয়ী খুনীর
অহমিকারা ফণা তুলে
কেউ জানে না হত্যা কেন? কেউ চেনেনা অন্ধজনে।।
মন্দ্রধ্বনি গাঢ় শোনায়
কুহেলিকাদের আর্তনাদ
শুকনো পাতা মুচকি হাসে – কৃষ্ণবেড়াল অপেক্ষাতে।।
মৃত্তিকাতে আঁছড়ে পড়ে
ব্যর্থ মুঠোর সম্ভাবনা
অপঘাত করে আততায়ী – অধোবদনে কেউ ছিল না।।
চন্দ্র ঢালে জ্যোছনা লাভা
ঐপথে আসে গুপ্তচর
রাজলিপির ভরসা থাকে – জোনাকী পোকা বিলাপ করে।।
সহসা বুকে বিদ্যুৎস্ফুরণ
রন্ধ্রগুলো সন্দেহভাজন
তখন কেন কেউ ছিল না? অরন্য জানে আর কেউ না।।
মন্দ্রধ্বনি অশনি শোনায়
“পালিয়ে যাও! নয় এখানেই শেষ।”
অন্ধজনে অন্ধকারে – ভুলহত্যার তাড়ণা ফেরে।।
অশরীরী অপছায়ার দল
শিউরে ওঠার দুর্গ তোলে
দুই পলাতক সত্য জানে – ভুল হত্যা ভুল ছিল না।।
নোটঃ ঘুটঘুটে অন্ধকার এক অরণ্য মাঝে অপেক্ষায় ছিল এক হন্তারক। তার কাছে নির্দেশ ছিল এই পথে রাজলিপি বয়ে আনবে গুপ্তচর। সে গুপ্তচরকে হত্যা করে নিয়ে নিতে হবে রাজলিপি। হঠাৎ ঠিক সময়ে কে একজনকে দেখতে পেরে হন্তারক অস্ত্র চালায়। নিহতপ্রায় মানুষটি মাটিতে যখন গোঙাচ্ছিল, ঠিক তখন কাছাকাছি কোথাও পায়ের শব্দ পাওয়া গেল। হন্তারক বুঝলো সে খুন করেছে ভুল মানুষকে, আর গুপ্তচর জানলো সে বেঁচে গেছে ভুল হত্যার জন্যে।