ভাগ্যদেবী! আমায় দেবে কী বর?
হন্যে হয়ে দেশান্তরী – মুখটি ঢেকে বর্ণচুরী
সরীসৃপের সঙ্গী হয়ে – এ ঘর থেকে ও ঘর ঘুরি;
“সাবধানে থাক, পড়বি ধরা,” ধমকে বলে আড়াল বুড়ি;
পাপড়িগুলো হয় যদি এক, কে দেবে গো হুঁশিয়ারী,
ঘৃণ্য নামে ডাকছে সমাজ – “গুপ্তচর! গুপ্তচর!”

ভাগ্যদেবী! আমায় দেবে কী বর?
রাজা আমাদের পরাজিত – কাউকে আমি জানাই নি তো?
নব আইনে হয়নি বিচার; তবু – শাস্তি পেয়েছি অযাচিত,
লোকমুখে সন্দ্বেশরস – গুজব রটছে অপরিমিত
যাত্রামঞ্চে বাউলা গানে ‘তারা’ – এখন সম্ভাষিত;
দুঃসময়ের প্লাবনকালে হয়না অবসর।।

ভাগ্যদেবী! আমায় দেবে কী বর?
দেবে কী আমায় শিশুসুলভ অট্টহাসির সুখ
দেবে কী আমায় নিতে নিশ্বাস সজীবতায় এক বুক
দেবে কী আমায় প্রিয়ার অঙ্গে কাঁকনের ভালবাসা
দেবে কী আমায় করতে চিৎকার – না বলা মাতৃভাষা
দেবে কী আমায় পিতার স্বস্তি – সন্তান সফলতায়,
আমি চাই আমার অধিকার ভোগ – পূর্ণ স্বাধীনতায়;
চাই না হতে উদ্বাস্তু – চাই না যাযাবর।।

ভাগ্যদেবী! দেবে কী আমায় বর?

বর হবে কী মায়ের মুখে এক লোকমা ভাত?
বর হবে কী কারাবন্দীর অবীরোচিত প্রভাত?
বর হবে কী আমার অর্ঘ্য তোমার চরণ তলে?
কী দেবে বর বলো মা গো তুমি – কন্টকিত ভালে?
সর্পিলাকার ঋতু চক্রে বসন্ত কী আসে না?
কত অযোগ্য কত বর পায় – কেন আমারে দিলে না?
তোমার করুণা সাম্রাজ্যে দেবী – ভিখারী সঁপেছি কর।।

ভাগ্যদেবী! আমায় কী দেবে বর?


নোটঃ কোনো এক দেশের গুপ্তচর এসেছিল কোথাও তথ্য সংগ্রহে। কিন্তু সে সময় সে খবর পায় তার দেশ পরাস্ত, তার নেতারা কারাগারে। এমতাবস্থায় তার দেবীর কাছে গুপ্ত প্রার্থনা।