এবারই শুধু এসো না বৈশাখ, আরবারও তুমি এসো না,
যদি- না যায় মুছে ধরণী হ’তে পাপ-রোগ ঐ ’করোনা’।
তুমি না এলে মৃত্যুর মিছিল হবে না দীর্ঘ, বৈশাখ
তুমি না এলে বাজিবে না পথে ফানুস-মৃদঙ্গ-জয়ঢাক।
তুমি না এলে রমনার (বট) মূলে হবে নাকো কোন ফাংশন,
মাঠে-পথে-ঘাটে উড়িবেনা ঘুড়ি, ছেঁাবেনা বিমার দংশন।
লোহিত-ধবল রাঙ্গা সে পিরান হয়নি যে কেনা এবার,
(পরা) হবেনা মেলায় রঙ্গে-সঙে ভরা মুখোসটিও সবার।
আমার প্রেয়সী আঁকিবেনা গালে আলপনা সুনিপুণ,
হাটিবেনা পথে, জড়ায়ে দেঁাহারে, ছাড়াছাড়ি এগুনুন।
শিশুটি আমার আব্দার ছিল হাঁতি-ঘোড়া কিনে -
দিতে-ই হবে পসার সাজানো, ’কোন কিছু মানিনে’।
(কিনিতে) যাব কি করে! দন্ডায়মান অতি ভীষণ সেপাহী মোড়ে,
জিগায়, 'তোমার দরকার কী সে?' নচেৎ, কালিমা বে-ঘোরে।
এসো না, এসো না, এসো না বৈশাখ, বাঙ্গালীর ঘরে-ঘরে
মরে পড়ে আছে কত সজ্জন কাঁদিছে জড়ায়ে উহারে।
কিম্বা কষ্ট শ্বাস রোধ করা জ্বর অতি সাথে কাশি
মরণ বিমারে ধরেছে তাহারে যুবা কিবা বৃদ্ধ আশি।
ছুঁইয়ো না, ছুঁইয়ো না, এগিয়ো না কাছে, ওখানেই থাক্
পরাণ ফাটানো ছিন্ন আকুতি নিষেধ করা সে বাক্।
অচ্ছুৎ-অস্পৃশ্য বলে হানিছে আঘাৎ প্রিয়েরে যারে,
তারেই বাহুতে পরাণে পরাণ চাপিয়া নিতো নির্ভারে।
তুমি এলে, সাথে আসিবে মারণ কভিড নাইনটিন,
তোমাকে না হয় বরণ করিব অন্য আর একদিন।।