কল্লোলিনী মৃন্ময়ী লজ্জাবতী নারী পিয়ালি
স্বামী বেকার, তাই সে সহকারি বুদ্ধিজীবী
তার ঠোঁটে মলায়িন অথচ তীক্ষ্ণ সুমিষ্ট হাসি ,
স্বামী ভালোবেসে নাম দিয়েছে দেবীচৌধুরানী !
পিয়ালি ছিল বাপের একমাত্র আদুরে কন্যা
উনিশ বছর বয়সে রাহুল রায়ের হাত ধরে
বাবা-মায়ের অমতে বাড়ি ছাড়ে ;
তার দু’বছর পর রাহুলের অ্যাকসিডেন্ট !
প্রচুর খরচ হয় ; হয় দেনাও , প্রায় লাখ টাকা
পিয়ালি ভালো কবিতা লিখত , নামডাকও ভালো ছিল
সমর মিত্র , আনন্দ পাবলিকেশনের সম্পাদক
কবিতার ও কবির প্রেমে পড়ে যান ।
আর সেই থেকেই শুরু হয় ,
স্বপ্ন বেচে স্বপ্ন কেনার চোরাবালি !
সমর একটু নির্লজ্জ ছিল তো বটেই
তা না হলে স্বামী-সুখ-পিয়ালিকে......
দশ বছর পরের কথা , আজ পিয়ালি রায়
নামকরা লেখিকা পিয়ালি সমর মিত্র !
আর রাহুল ওদিকে সাদা ক্যানভাসে ,
দেবীচৌধুরানীর অসমাপ্ত ইতিবৃত্ত লেখার চেষ্টা চালায়..