শত সহস্র বছর ধরে
পথ আমাদের থামেনি
সুনামি থেকে মন্বন্তর
দমাতে মোদের পারেনি
যোগ্যতমের উদবর্তনে
আগুন মেনেছে পোষ
খরা ভুকম্প টাইফুন হয়ে
ঝরেছে তোমার রোষ
প্লেগ ,যুদ্ধ, মহামারি
কেড়েছে লক্ষ প্রাণ
নতুন করে বাঁচতে শিখেছি
সাথী সেই বিজ্ঞান
ধরেছি লাঙ্গল গড়েছি চাকা
দেওয়ালে সেসব হিসেব রাখা
শস্যশ্যামলা অবাক পৃথিবী, এইটা মোদের বাড়ি
গুহার ভেতর শুরু করে মোরা দিয়েছি চাঁদেতে পাড়ি
হাজার বর্ষা ভেঙেছে বাঁধ
নতুন করে গড়েছি,
তুমি ভাবলে করোনা
আজ তোমার কাছে হেরেছি?
" মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে, ঠাঙাড়ে বীরু রায়ের বটতলায় কি ধলচিতের খেয়াঘাটের সীমানায়? তোমাদের সোনাডাঙা মাঠ ছাড়িয়ে, ইছামতী পার হয়ে, পদ্মফুলে ভরা মধুখালি বিলের পাশ কাটিয়ে, বেত্রবতীর খেয়ায় পাড়ি দিয়ে, পথ আমার চলে গেল সামনে, সামনে, শুধুই সামনে…
দেশ ছেড়ে বিদেশের দিকে, সুর্যোদয় ছেড়ে সূর্যাস্তের দিকে, জানার গন্ডি এড়িয়ে অপরিচয়ের উদ্দেশ্যে...। দিনরাত্রি পার হয়ে, জন্ম মরণ পার হয়ে, মাস, বর্ষ, মনন্তর, মহাযুগ পার হয়ে চলে যায়.... তোমাদের মর্মর জীবন-স্বপ্ন শেওলা-ছাতার দলে ভরে আসে, পথ আমার তখনো ফুরোয় না... চলে... চলে... চলে... এগিয়েই চলে....
অনির্বাণ তার বীণা শোনে শুধু অনন্ত কাল আর অনন্ত আকাশ....সে পথের বিচিত্র আনন্দ-যাত্রার অদৃশ্য তিলক তোমার ললাটে পরিয়েই তো তোমাকে ঘরছাড়া করে এনেছি!
... চল এগিয়ে যাই।"