আমার এ চোখ দিয়ে,
আমি যখন নীলাকাশ ভরা
সাদা মেঘ গুলো ভেসে যেতে দেখি,
স্মৃতিময় কল্পচারী হৃদয় আসরে,ফ্রেমে বন্দি করে-
তাহার মায়াভরা মুখের লজ্জা লাজুক ছবিটি আঁকি ।
আমি যখন বর্ষাভেজা রৌদ্দুর পড়ন্ত বিকেলে,
পুরনো দিনের গল্পগুলোকে কাব্যরসে গেঁথে,
গুনগুনিয়ে সুরের বাধনে বেধে,
কণ্ঠে তুলে-করি অতি মাতামাতি-
পেয়েও যেন হারাই ! এ কেমন দুষ্ট উকোউকি ?
আমি যখন হেমন্তের হিম হাওয়ায়,
রক্তিম বিকেলে ফসলের বুকচিঁড়ে,
ঘরেফেরা পাখ-পাখালীদের উড়ো উড়ি দেখি,
তখন তারে না পাওয়ার বেদনায় নিজেকে ভুলি ।
আমি যখন বর্ষাভেজা রৌদ্দুর পড়ন্ত বিকেলে,
পুরনো দিনের গল্পগুলোকে কাব্যরসে গেঁথে,
গুনগুনিয়ে সুরের বাধনে বেধে,
কণ্ঠে তুলে-করি অতি মাতামাতি-
পেয়েও যেন হারাই ! এ কেমন দুষ্ট উকোউকি ?
আমি যখন হেমন্তের হিম হাওয়ায়,
রক্তিম বিকেলে ফসলের বুকচিঁড়ে,
ঘরেফেরা পাখ-পাখালীদের উড়ো উড়ি দেখি,
তখন তারে না পাওয়ার বেদনায় নিজেকে ভুলি ।
আমি যখন ভোরের গহীন কুয়াশাভেজা,
দোয়েল শ্যামা ঘুঘুর ভরাট কণ্ঠে,
সুর সাধনে রেওয়াজ শুনি,
তখন শুধু ই মনে হয়-উদাস মন ছাড়া,
আমার এ জীবনে আর কি বা আছে বাকি ?
আমি যখন সরষেফুলের হলুদ শোভায়,
মৌ-প্রজাপতিদের গুনগুন সুরে,
মধু আহরণের দুরন্তপনা দেখি,
অলিক স্বপ্নের বিবর্ণ মোহনায়-
নিজেকে হারায়ে একাকী করি লুকোচুরি ।
আমি যখন সন্ধ্যা শরৎকাশে,
সবুজ পল্লব শাখায়
লতাগুল্মের স্নিগ্ধতায় নির্লিপ্ত দোল দেখি,
সাদা কাশফুলের পবিত্রতায় খুঁজি,
প্রেমাতুর মন টাকে,কেন ই বা দিয়েছি জলাঞ্জলি ?
আমি যখন নীরব চরণে পথহীন পথিকের,
ঘামেভেজা ভালোবাসা হারাবার আর্তনাদ শুনি ,
ইচ্ছে হয় বৃষ্টি ভেজা ওই বনে
উজবুক উন্মাদ চিৎকারে কাঁদিতে কাঁদিতে
হৃদয়ের ভেতরে নব স্বপ্নের বীজ বুনি ।
আমি যখন রাতের আকাশ জুড়ে
মনোমুগ্ধকর চাঁদের আলোয়
তারাদের অবারিত ছুটে চলা দেখি-
অদৃশ্য কি কারণে যে হয়ে যাই-
তারাদের প্রিয় নিশিরাতের সাথী।