মা,
তোর নিন্দে আমি করবো না ।
আত্মঘাতী ভুলে,
আষাঢ়ের ক্রন্দন তোর হৃদয়ে বহাবো না ।
আসে যদি জীবনের উপর হীন প্ররোচনা,
বিশ্বাসের ভীত,
হায়নার ছোবল এলেও ভাঙ্গবো না ।
শুধু আমার স্নায়ুর দুঃসহ বেদনা,
তোকে ছাড়া,
জগতের অন্য কাউকে জানাবো না ।
মা'গো,
হৃদয়ের উন্মুখতো দুয়ারে,
অসৎ পেঁচাগুলো,করে যখন অযথা চিৎকার ।
তুই ছাড়া এ দুনিয়ায়,
কে আছেরে আমায়, আঁচলে ঢেকে রাখবার ?
একবার শুধু ছুঁয়ে দেখ,
তোর অবাধ্য ছেলের হৃদয় বুকের বীণার তার,
কি দুঃসহ ব্যথা-যন্ত্রণা লয়ে,
শুন্যতায় জীবন করছে একেক টি প্রহর পার ।
বলতে কি পারিস, মা' তুই !
কোন জঘন্য পাপে,
বিধাতা তোর উপর নিয়ে চলেছে রুদ্র প্রতিশোধ ?
না কি ! এ তোর দিক ভ্রান্তির মরণ যাত্রা উৎসব ?
মিছে কান পেতে শোন,
তোর রক্তজঠর হতে বেড়ে ওঠা খোকার বুকে,
স্মৃতিগুলো পুড়ছে ,কত দহন যন্ত্রণায় ধুকে ধুকে ।
মা'রে আমার,
তোর ঈশ্বরের ইঙ্গিত ইশারায়
চলে যদি দৈবাৎ-
এ হৃদয় পিঞ্জরে সর্বনাশের মরণ মহড়া,
তবে কালের গহ্বরে, সে যাত্রায় মিশে যাওয়া ছাড়া,
জগত দুনিয়ায় আমার আছেরে কি করা ?
তোর খোকার রক্তবর্ণ দো দুল দৃষ্টি,
ক্ষুব্ধ চেয়ে থাকে যখন অনিশ্চিত ধ্যানে,
কথিত অতীত গোপন প্রেম-
বেপরোয়া বিক্ষুব্ধ মিছিলে হুল ফুটাতে চায়,এ পরানে ।
এ তোর কোন পৃথিবীর সমাজ পতাকা তলে জন্ম দিলি ?
আবার নিগৃহীত অজানা জীবন চক্রবাকে ছুড়েও দিলি ।
যে নারী,প্রেম মমতায়-
প্রেমকে নিয়ে করে জীবনের সাথে ছলতাচুরি ।
কি করেই বা,
এসব উলঙ্গ কুটিল উন্মাদ প্রবঞ্চিত প্রেম বারতাকে,
চিরকালের সাধনায় আগলে ধরি ?
বরং যদি পারি,
সকল কল্পলোকের বাধন ছিন্ন করে-
খুনরাঙ্গা ক্রুদ্ধ নগ্ন হাতে, এমন সব বহতা প্রেমকে,
হিংস্র বাঘের মত খাবো ছিঁড়ি ছিঁড়ি ।
তোর যত আহাজারি,
বাধ মানবে নাকো-
তোর খোকার হৃদয় আত্মার বিভাবরী ।