কত দিবস, কত রজনী যে পার হলো --
আজও এই অনিন্দিতা জানলো না
কি হতে চেয়েছিল সে? কি তাঁর স্বরূপ?
প্রতিনিয়ত এই আমিত্বকে সফলতায়
রূপ দিতে সম্পাদনায় রত;
বিন্দু বিন্দু বালু ঢেলে ঝিনুকের শেলে
মুক্তা গড়ে হয় সম্পাদিত আমি।
আমার রোজনামচায় আমি এক
জীবনশ্রমিক; প্রতিটি দিন পার
করি জন্মান্ধের মুচলেকা দিয়ে।
প্রতিটি বিগত দিন এক একটি ভ্যাটের ইতিহাস --
অনিচ্ছার সুতোয় বোনা নকশীকাঁথা
জীবন আমার!
আমি তো শ্রমিক নয় ,সৈনিক হতে
চেয়েছিলাম; অথচ পারিনি।
কত সুরে কত গান যে তুলেছিল এই সুকন্ঠী --
সঠিক গানটি আজও গাওয়া হয়নি।
জীবন নামক গানের খাতায় শুধুই
পরাজয়ের গ্লানি!
আমি তো পরাজিত নয় , প্রতিবাদী
হতে চেয়েছিলাম; অথচ পারিনি।
কতজন যে এলো গেলো এই সুহাসিনী,
সুভাষিণীর পান্থপথে;
জানা হলো না কে যে আসল সুজন!
জানা হলো না কি যে আমি হতে চেয়েছি
-- মধুমক্ষিকার রানী কিংবা শুধুই কূলবধু।
কত রূপে, কত রঙে যে সাজিয়েছিলাম
নিজেকে ; আজও জানিনি কোন রূপে
আমায় মানাতো দারুণ!
তারূণ্যের সুদীপ্ত সময়ে আমি
সংসারী - প্রৌঢ়া; সমাজের রক্তচোখে
পদদলিত এক ভীরু কিশোরী!
ভেতরকার শিশুটাকে আজও করা হয়নি
বধ -- আজও সে অবুঝ কান্নার পাললিক মাটি।
আজও অনেকটা পথ বাকী নিজেকে
সম্পাদনার। আজও জানা হয়নি --
কি হবে সেই বেলা শেষের সত্ত্বার?
কেমন হবে সম্পাদিত আমি?