ছোট্ট শিশু রুশো জুনিয়ার,
বাংলার হেমা রুশোর পুত্র শিশু তুমি।
এ পৃথিবীতে তোমার অবস্থান ক্ষনিকের-
এত ছোট এত সুন্দর তুমি।
হাসপাতালে নার্সের কোল-
ফুপু- অতঃপর বাবা রুশো।
ফুপুর দেওয়া একমাত্র উপহার-
একটি কাথায় মোড়ানো-তুমি বিদায় নিচ্ছ।
এ পৃথিবীতে বাবার কোলে-
বাবার অশ্রুসিক্ত চোখের জলে তোমার বিদায়।
হাসপাতাল থেকে আজিমপুর কবরস্থান-
তোমার বাবার পাশে আমি নিরব দর্শক।
বার বার হৃদক্রন্দন হচ্ছিল-
প্রকাশের ভাষা নেই।
একজন সুমন আমাদের সাথে-
আরো দুই তিন জন তোমার বিদায় কাজে আজিমপুরে।
তোমাকে নিয়ে আমরা মাঝপথে-
তোমার জেঠা ডঃ মাহমুদুল এর ফোন-
তোমাকে বিদায় জানাতে-
তোমাকে একটিবার দেখতে চাওয়া।
কবরস্থানে তোমার বাবা খোলা আকাশের নিচে-
তোমায় কোলে আকাশ পানে বিধাতার কাছে সমর্পন।
হয়ত তোমার জন্য কিছু চাওয়া-
হয়ত তোমাকে লালন না করতে পারার আকাঙ্খা।
তোমার শেষ গোসল-বাবার কোল হতে-
সুমন, আমি ও নাম না জানা আরো দুইজন।
তখনো তোমাকে দেখা হয় নাই ভাল করে,
তোমার জেঠা আসল, গোসল ও শেষ হল-
গভীর রাত, তোমাকে দেখা হল।
এত সুন্দর ছোট শিশু আমার দু চোখ দেখে নাই কখনো-
মনে হল যেন বেহেস্তী কোন শিশু।
এবার তুমি তোমার জেঠার কোলে-
জেঠার কোল থেকে তোমার বিছানা-
এবার তোমার বিদায়,
আমি এক নীরব দর্শক।
তোমাকে মনে পড়ে-
বারে বারে, নিশি ভোরে।
তোমার ঠিকানা এবার আজিমপুর কবরস্থান-
আমার প্রতিদিনের অফিস যাত্রা-
তোমার শেষ ঠিকানার পাশ দিয়ে।
কেন যেন বারে বারে মনে পরে যাও তুমি-
বেহেস্তী শিশু হও তুমি।