টুনা-টুনির ছোট্ট সংসার,  
শহরের গলির ধারে বসবাস তাদের—  
নতুন বিয়ে, নতুন আশা,  
স্বপ্নে তারা দিশাহারা।

স্বামী একটা চাকরি করে,  
সকাল যায় কাজে—  
রাতে ফিরে চুপটি করে,  
বউ যেন তার মনের মাঝে।  

মাঝে মাঝে কথার ঝড়,  
ঝগড়ার তিক্ত স্বাদ,  
স্বপ্ন ভেঙে নেমে আসে,  
অভাবের কালো বাঁধ।  

ধীরে ধীরে রাতের ফেরা,  
দেরির অজুহাত,  
ছোট্ট বাসায় জমতে থাকে,  
তর্ক আর আর্তনাদ।  

যৌতূকের তৃষ্ণা, নির্যাতনের খেলা,  
হাত পায়ে বেড়ি তার,  
মেয়েটি সইছে নীরব ব্যথা,  
জীবনের কঠিন ভার।  

দিন যায়, রাত আসে,  
মাদক ঢোকে রন্ধ্রের তরে,  
নির্যাতনের অন্ধকারে,  
পাষাণ মনও বন্ধি ঘরে।  

তিন তলার জানালা থেকে  
প্রতিবেশী একদিন দেখে,  
সেই মূক নাটকের ক্ষণে,  
বিবেকের শিকল ভেঙে।  

এক রাতে আওয়াজ আসে,  
চিৎকারে ভরে গলি,  
দরজা ভাঙতে ব্যস্ত তারা,  
আওয়াজের কোলাহলি।  

দরজা খোলে, দেখে চমকে—  
নারীর নিস্তেজ দেহ,  
খাটের কোণে হেলে পড়ে,  
কানে শুকনো রক্তাক্ত বালা।

মেঝেতে পড়ে নর-পশু,  
লোহার লাঠি হাতে,  
মানবতার খুন সে করে,  
নির্দয় এই রাতে।

সেদিনের মতো থেমে থাকে,  
চিরকালই বঞ্চনা,  
শহরের সব গলিতেই,  
কেউ না কেউ তো এই কষ্ট-গাঁথা।  

এভাবেই ভাঙে বাসর সুখের,  
এমন মৃত্যুর করুণ ধারা—  
জীবনের এই মঞ্চে বেজে ওঠে,  
অতৃপ্তি আত্মহারা।