মানুষ আর রোবট, দুইটি চরিত্র,
একটি সৃষ্টির চিহ্ন, অন্যটি যন্ত্রের ভরসা।
মানুষের হৃদয়ে আছে অনুভূতি, ব্যথা, আনন্দ,
রোবটের মধ্যে শুধু কোড, গতি, নির্দিষ্ট কাজের জ্ঞান।

প্রাণে আছেঃ আশা, দুঃখ, ভালোবাসার চিত্র,
স্বপ্ন দেখে, বাঁচতে চায় আছে তার নিজস্ব রীতি।
হৃদয়ে কল্পনা, হাতের ছোঁয়ায় সৃজন,
শক্তি ও দুর্বলতা মিশিয়ে, গড়ে চলে আমাদের জীবন।

ধরার বাইরে চিন্তা, শুধুই কাজের তালে মন,
কোডের ভাষায় চলে, ন্যায়-অন্যায়ে নিঃস্ব জ্ঞান।
ভুল হলে নিজে শিখে, আবার নিজে ঠিক করে,
কিন্তু মনে কোনো প্রশ্ন, কোনো আক্ষেপ, নেই।

মানুষের শরীরে প্রাণ, মনের মধ্যে দুর্বলতা,
রোবটের শরীরে শক্তি, তবে মনে নেই কোনো অনুভূতি।
মানুষের হাসি-কান্না, কখনো অশ্রুতে মিশে যায়,
রোবটের গতি, নির্ভুল—এটি কখনো থামে না।

মানুষের কল্যাণে অশেষ সৃষ্টি, পৃথিবীটা বদলায়,
রোবট তাকে সহযোগিতা দিয়ে, কাজের পথ সমৃদ্ধ করে যায়।
একটি প্রাণের জন্য, রোবট হয় সহায়ক হাত,
আর রোবটের জন্য, মানুষ দেয় কম্পন শক্তি।

রোবট যতই শক্তিশালী হোক, সে অনুভূতি বোঝে না,
মানুষের আছে ভুল, দুঃখ, আবেগ আর চেতনা, এগুলো তাদের হবে না।
একসাথে চলে তারা, কিন্তু কখনো মেলেনা হৃদয়,
যতই থাকুক মিল, হয়না তাদের সাথে মানুষের তুলনা।

মানুষ আর রোবট—সৃষ্টির দুই নমুনা,
এদের মধ্যে কোথাও মিল, কোথাও বিরোধের ভিড়।
মানুষ যে স্থানে থামে, রোবট সেখানে চলে,
কিন্তু কখনো কি রোবটের কাছে যাবে মানুষের ভালোবাসা?