আমাদের পূর্ব পুরুষরা ছিলেন কৃষক, শ্রমিক,  
মাটির কাঁচা ঘরে কাটিয়েছেন, অন্নাভাবে থেকেছেন ক্লান্ত পথিক।  
তাদের মলিন পোশাক, পরিশ্রমে ভরপুর জীবন,  
আমাদের বাবারা চাইতেন যেন আমরাও না হই সেই পথের সৈনিক।  

তারা আমাদের নিলেন মফস্বলের পথে,  
শিক্ষার আলোয় জ্বালালেন ছোট্ট টিনশেড ঘরে।  
আমরা পড়াশোনা করলাম, ছাড়লাম সেই ছোট গাঁও,
মহানগরে এলাম, স্নাতক হলাম; ছুঁলাম কংক্রিটের অট্টালিকার ঘর।  

কায়িক পরিশ্রম থেকে মুক্ত মিললে ও, জমলো পেটে চর্বির স্তর,  
ডাক্তারের পরামর্শে হাঁটতে হলো, সঠিক রাখতে শরীরের গতি।

মাটি ছেড়ে উড়লাম আধুনিকতার প্রবাহে,  
গাছের ছায়া খুঁজি সারা বিষাক্ত নগরে।
লালশাক আর ভাত ফেলে, বারবিকিউর পিছু ছুটে যাই,  
পূর্ব পুরুষদের স্বপ্নের তরকারির তৃষ্ণা কি দিয়ে মিটাই?  

আমরা বড়লোক হলাম, আমাদের পেটে এল ক্ষুধার বিসর্জন,  
কাঁড়ি কাঁড়ি টাকায় চিকিৎসকদের নিতে হয় পরামর্শ,  
সবই আমাদের অভ্যাসের দণ্ডী বটে,নয় কি?
আধুনিকতার কাঁচে বন্দী হলো গ্রামিন জীবনখানি।
আধুনিকতার চাপে থিতিয়ে গেল সরল হৃদয়খানি।