গ্রামের ছেলে ও, অভাবের মাঝে জন্ম,  
বাবা কৃষকের ঘাম, মায়ের ত্যাগের গর্ব।  
দিনমজুরী টাকায় চলত সংসারের খরচ,  
বই কেনার টাকাও ছিল না, তবু পড়াশোনা হতো স্পষ্ট।  

বাবার সাথে মাঠে কাজ, হাতে কাস্তে ধরা,  
তবুও রাতে আলো জ্বেলে পড়ায় দিতো ধরা।  
স্কুল শেষে ফল ভালো, সবাই করতো প্রশংসা,  
তবু দারিদ্রের সাথে চলত জীবনের প্রতিযোগিতা।  

কলেজে গিয়ে টিউশনির টাকায় হতো দিন চলা,  
বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়ে শুরু হলো নতুন আলোর ভেলা।  
শহরের ব্যস্ততায় দিন ছিল কঠোর,  
ক্লাসের পর রাতে টিউশন, তবুও স্বপ্ন অটুট।  

ডিগ্রি শেষ, শুরু হলো চাকরির লড়াই,  
কতবার পরখ হলো, তবু স্বপ্ন হারায়।  
বয়সের বাধা, পরিবারের চাপ,  
তবু থামেনি ও, চালিয়ে গেছে কঠোর চাপে।  

টাকায় টান, বাবা অসুস্থ, ছোট বোনের পড়া বন্ধ,  
তবু নিজের চেষ্টায় জ্বেলে রাখলো জীবনের আলো অন্ধ।  
একদিন পেলো সোনার হরিণ,মস্ত বড় সুযোগ,  
শেষ সম্ভাবনায় সে ধরলো দৃঢ় মজবুত ।  

কঠোর পরিশ্রমে কাজের মান দিলো প্রমাণ,  
দুই বছরের মধ্যেই পেলো পদোন্নতির সন্ধান।  
আজ সে প্রতিষ্ঠিত, পরিবারে এসেছে সুখ,  
ছোট বোন স্কুলে গেছে, বাবা-মা পেয়েছে শান্তির দুখ।  

ওর গল্প শিক্ষা দেয় আমাদের,  
ধৈর্য আর চেষ্টা ফল আনে সবার।  
অতীতের ব্যথা ভুলে জীবন সাজাও নতুন রঙ্গে,  
পরিশ্রমের জয়গানে রঙিন হোক তোমার প্রাঙ্গণ।