একটি ঘর, সুনশান নিরবতা,
মিহির একা, চুপচাপ তার ধ্যান-মনন,
হঠাৎ শোনা গেল এক অস্বাভাবিক শব্দ,
দরজা খোলার তালে, এক অজ্ঞাত উপস্থিতি।
কিন্তু সে জানে, নিরাপত্তা কখনও ছাড়ে না,
স্মার্ট সিস্টেম চুপচাপ সজাগ, তার নজর সবসময় সাথে।
সিসিটিভি ক্যামেরা ছবি তুলে পাঠালো সতর্ক বার্তা,
“অস্বাভাবিক প্রবেশ, পুলিশকে অবহিত করা হচ্ছে, এক মুহূর্তে ব্যবস্থা হবে!”
তারপরেই ধোঁয়া, আগুনের আশঙ্কা,
অটোমেটিক সিস্টেম চালু, ফায়ার অ্যালার্ম সজাগ,
৯৯৯-এ খবর চলে গেল, দ্রুত গতি,
এমনটাই তো স্মার্ট সিস্টেম, যা নজর রাখে।
মিহিরের মনেও ছড়ায় উদ্বেগ,
অদৃশ্যভাবে সিস্টেমে ধরা পড়ে চিন্তা,
সতর্কতার আলোর মতো, মনোবিদের সাহায্য আসে,
এম্বুলেন্স পৌঁছায়, বিপদে কেউ একা নয়।
এমন একটি সিস্টেম, যা মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে,
ঘরের কোণে গোপনে নজর রাখে, কোনো বিরক্তি সৃষ্টি না করে।
যতই বিপদ আসে, যতই অস্বাভাবিক হয়,
তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেয়, সবার আগে সুরক্ষার দিকে চলে।
কথা না বললেও, সিস্টেম সব বুঝে নেয়,
মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তায় কখনো বাধা সৃষ্টি হয় না।
আগুন বা ঝগড়া, এক মূহুর্তে সিস্টেম বুঝে নেয়,
পুলিশকে জানিয়ে, দ্রুত পরিস্থিতি সামলায়।
এটি ছিল নিরাপত্তা, যা সব সময় ছিল সঙ্গী,
মিহিরকে কোনোদিন আতঙ্কিত হতে দেয়নি,
স্মার্ট সিস্টেমের কারণে শান্তি ফিরেছিল জীবনে,
এটি ছিল প্রযুক্তির এক আশ্চর্য দান, যা দেয় জীবনের সুরক্ষা, স্থিতি।
এ সব কিছু সম্ভব ছিল, যতক্ষণ ছিল বিদ্যুৎ,
নেটওয়ার্ক ছিল চাঙা, সিস্টেম ছিল যথাযথ।
কিন্তু এক মুহূর্তেই যদি চলে যায় এ শক্তি,
তবে পুরো সিস্টেমই হয়ে পড়ে অক্ষম, অসাড়, নিস্তেজ।
তাই, স্মার্ট সিস্টেম যতই উন্নত হোক না কেন,
তার কার্যকারিতা নির্ভর করে শক্তির অবিচ্ছিন্ন উপস্থিতির ওপর,
যতক্ষণ না থাকে বিদ্যুৎ, ততক্ষণ পর্যন্ত—
সব প্রযুক্তি থেমে যাবে, আর বিপদ আসবে নিঃশব্দে।