যান্ত্রিকতার জাঁতাকলে দিন কাটাই ক্লান্তি ভরে,
হৃদয়ের গহীনে খুঁজে ফিরি শান্তি, নিভৃতির মোহময় ডোরা।
বাড়ীর পথে যদি ছুটি মেলে দুই দিনের,
অচিনপুরের সেই গ্রামটায়, হারানো ছোট্ট জীবন খুঁজে ফিরে।
নব্বই দশকের মতো সেখানে নেই বিদ্যুতের আলো,
রাতে হারিকেনের মৃদু আলোয় বুনে চলি নিঃশব্দ স্বপ্নের আলো।
রাস্তায় নেই রিক্সা-অটো, নেই কোলাহলের সুর,
গরুর গাড়ির চাকার ঘূর্ণনে কাটে পথ অতি সহজ সুন্দর।
নেই মোবাইলের নেটওয়ার্ক, নেই কৃত্রিমতার বাঁধা,
নদী তীরঘেঁষা শান্ত সে গ্রামে মেলে প্রকৃতির আধার।
মাটির দোচালা ঘরে থাকি গেরস্তের অতিথি হয়ে,
সকালে কালাই রুটি, ধনেপাতা ভর্তায় মেশে গন্ধ ছড়ায়।
গোয়ালঘরে গরুর দুধ দোহনের সেই ছন্দ,
নিজ হাতে পান করি সজীবতার তাজা দুগ্ধ।
যেন ফিরে গেলাম শিকড়ের কাছে, স্মৃতির প্রাচীন সেই ধারে,
অচিনপুরের গ্রাম যেন হারানো সময়ের কাছে টানে আমায় বারংবার।