চাঁদের আলোয় নয় শুধু, রবির কিরণেও,
গোফনে আড়ালে নয়,প্রকাশ্য দিবালোকে।
একটি শিশু, নিষ্পাপ কচি,
পুতুলের সাথে খেলছিল সুখী,
শকুনের থাবায় ছিঁড়ল শরীর,
কিন্তু এবার খুনিদের গিলে নেবে বিষধর!
কিশোরী, স্কুলের পথে,
ভেবেছিল জ্ঞানই আলো হবে,
ভুলে গিয়েছিল ধর্ষকের দৃষ্টি,
এবার সেই চোখ হবে ছিন্নভিন্ন তপ্ত শিখে!
এক যুবতী, স্বপ্নময় দিন,
নীল আকাশের লালের ঋণ,
তাকে ঘিরে হায়েনার ঝাঁক,
এবার সেই শকুনের হবে রক্তাক্ত পাক!
এক স্ত্রী, ঘরে স্বামীর আশা,
শপথ ছিল, ভালোবাসার ভাষা,
তবু পাষাণ ধরল এ পথ,
এবার সেই নরপিশাচ পাবে আগুনের শপথ!
এক বিধবা, জীবনের শেষ,
অশ্রু গোপন, দুঃখের রেষ,
তবু থামেনি পশুর হাত,
এবার ফাঁসির দড়ি ধরবে সমাজের হাত!
এক মা, যে গড়ল জীবন,
রেখেছিল শিশু কোলে আশীর্বাদ,
নরপিশাচ হাসল হায়েনার মতো,
এবার সেই হাসি হবে মৃত্যুর স্বাদ!
এক বৃদ্ধা, বয়সের ভারে,
কোলে ছিল নাতির হাসির সুরে,
তবু ধর্ষকের নেই লজ্জার মুখ,
এবার সে পুড়বে জনতার প্রতিশোধের জ্বালায়!
এক পাগলি, পথে-পথে ঘুরে,
নেই তার স্বামী,তবুও তাকে মা হতে হয়,
ধর্ষকের চোখ ফাঁকি দেয়া এত সহজ নয়,
এবার লাশের উপর যমের থাবায় হবে সমাধান!
আর নয় বিচারহীনতার হাসি,
এবার রাজপথে হবে নরপিশাচের ফাঁসি!
আগুন ধরুক, উঠুক বজ্রধ্বনি,
দেখুক জাতি ধর্ষিতার সাথে ধর্ষকের জানাজা।