নীরবতা বলে না কিছু,
তবু বলে অনেক কথা,
চোখের কোণে জমে থাকা জলকণা,
অন্তর্গত দহন কিংবা অশান্তি।
নীরবতা কখনো রাগের গর্জন,
কখনো মনের গভীর তৃষ্ণা,
কখনো বেদনার অশ্রুপাত,
আবার কখনো শান্তির গান।
যখন শব্দ হারিয়ে যায়,
নীরবতা তখন কণ্ঠ হয়ে ওঠে,
মনের অন্তস্থল থেকে উঠে আসে,
অতল গহ্বরের গর্জন।
নীরবতার প্রহরগুলোতে,
জেগে থাকে স্মৃতির চিত্রমালা,
প্রিয়তমের স্পর্শ,
অথবা বেদনার লিপি।
তুমি কি শুনতে পারো নীরবতার ভাষা?
যেখানে শব্দের প্রয়োজন নেই,
তবু তার গভীরতাই বলে দেয়—
তার ভেতরের সত্য বুলি।
নীরবতা যেন সেই বৃদ্ধ দিনমজুর,
যিনি ক্লান্ত হাতে শহরকে গড়ে তোলেন,
তবু এক কোণে অবহেলায় পড়ে থাকেন।
তার দুঃখের গল্প হয়তো কেউ শোনে না,
তবু তার নিঃশব্দ ত্যাগেই রচিত হয়,
সমাজের অগ্রগতির গান।