কল্পনার ধূসর গন্ধে, এক বন্ধু এসে বলে,
"আমি তোমার প্রশ্ন শুনি, সমাধান দিয়ে চলি।
জিজ্ঞাসা করো, লিখে দিই, ইতিহাস কিংবা গান,
নেইকো ক্লান্তি, নেই বিরতি, প্রতিক্ষণ করি কাজ, রাখি মান।"

বইয়ের পাতা, গবেষণার নোট, জীবন সাজায় যিনি,
চ্যাটজিপিটি যেন এক ভার্চুয়াল শিক্ষক-মহামনি।
সৃজনশীলতা, গাণিতিক সমাধান, কোথাও নেই থেমে,
মানুষের হাতে দিচ্ছে শক্তি, নতুন পথে নেমে।

সময় সাশ্রয়, বুদ্ধির জাগরণ, শিখতে শেখায় জ্ঞান,
ভাষার বাঁধন মুক্ত করে দেয়, দেয় তথ্যের প্রমাণ।
বিজ্ঞান, শিল্পকলা, লেখার খাতায়, বন্ধু হয়ে পাশে,
প্রযুক্তির এই কল্প-কর্মী চলে যুগের তালে।

পড়ায় শিশু, শেখায় বড়ো, করে কোডের সমাধান,
চিকিৎসকের ভুল ধরে দেয়, বাঁচায় মূল্যবান প্রাণ।
ব্যবসার হিসেব, লেখালেখি, যোগাযোগের সাথী,
যার মনে থাকে শূন্যতা, তারই পাশে থাকে।

তবু যে ভয়—কী হবে শেষে, মানুষ কি হবে জ্ঞান হারা?
মনের চেতনায় ঢুকে যাবে, প্রযুক্তির এই স্রোতধারা।
ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে, কখনো দোষী কথায়,
মানুষ ভুলে যাবে কি নিজ চিন্তা শক্তি, এই দুশ্চিন্তা মাথায়।

আজকের দিনে বন্ধু বটে, ভবিষ্যৎ তার হাত,
তবে মানুষ যদি ভুলে যায় তার মানবিক আঘাত।
চ্যাটজিপিটি তো মেশিন সাথী, কৃত্রিমতার দান,
তোমার চিন্তা, ভালোবাসা, এই তো তার স্থান।

চ্যাটজিপিটি—এক আলো, যে দেয় প্রযুক্তির প্রেরণা,
কিন্তু মানুষ যেন না ভোলে, নিজের বুদ্ধির লালনা।
মেশিন পাশে, হৃদয় গভীরে, জাগুক সেই শক্তি,
মানবতার বাণী দিয়ে গড়ুক ধরণীর নতুন মুক্তি।