গ্রাম থেকে হারিয়ে যাচ্ছে সেই পড়ার স্বর,
সন্ধ্যার পরে আর শোনা যায় না শব্দের ঘর।
একজনের পড়া আরেক জনের পাল্লা,
সবই যেন মিশে গেলো অন্ধকারের ঢালা।
মা-বাবার মুখে নেই সেই শাসন ভরা ডাক,
"অমুক পড়ছে, তুই বসে থাক সারা দিন!"
পাঁচ-দশ বছর আগেও সন্ধ্যায় যেত শোনা,
নানা স্বরে পড়া, প্রতিযোগিতায় গুঞ্জনা।
পড়তো সবচেয়ে খারাপ ছাত্রটাও,
সমাপনি পরীক্ষার আগে গভীর রাতে উঠতো জেগে।
আল-ফাতাহ, পাঞ্জেরী, লেকচার আর শিওর-সাকসেস,
সব ছিলো পরীক্ষার আগে সফলতার এক্সপ্রেস।
কিন্তু এখন সন্ধ্যা হলো মোবাইলে গাঁথা,
কোথাও নেই আর পড়ার আওয়াজে সাড়া।
গ্রূপ চ্যাটিং, গেমস, পাবজি, ফ্রী ফায়ার,
এই সবেই যেন তাদের সময় ধ্বংসের কাল।
গায়ে ব্যথা নেই,পড়ায় মন নেই, শিক্ষা গুরুতে বেয়াদবি,
শিক্ষকের নামে মিথ্যা, নিয়মে অবাধ গাফেলতি।
হারিয়ে যাচ্ছে পড়ার সেই পুরোনো ছন্দ,
গ্রামের মাটি যেন হলো চুপচাপ বদ্ব।
কোথায় সেই দিন, আলোর মশাল জ্বালা,
জীবনের পথে বুনতো স্বপ্নের মালা।
সবাই চাইতো কিছু হয়ে দেখাতে,
কাছে-পিঠে সবাই চাইতো এগিয়ে যেতে।
এখন স্মৃতি রয়ে গেছে মনের কোণায়,
পড়াশোনার স্বপ্ন আজ শুধুই শূন্যতায়।
এখনো সেই শব্দ মনে পড়ে আঁধারে,
তারা কি ফিরবে? নাকি হারিয়ে যাবে ধূসর স্মারে?
কোথায় সেই দিন, যেখানে বইয়ের ছিলো দাম,
জীবন গড়ার যুদ্ধ ছিলো প্রধান কাজের কাম।
পড়া নিয়ে আলোচনায় কেটে যেত সময়,
আবার কি আসবে সেই দিনের অভয়?