সম্মানিত উপস্থিতি,  
আজ আমি আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে;
হাজির হলাম এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা নিয়ে।
আমরা কি ভুলে গেছি আমাদের গৌরবময় অতীত?  

আমরা ছিলাম একদিন সংগঠিত,  
ছিলো ন্যায়ের আলো,  
বড়রা দিতো শাসন-সোহাগ,  
ছিলো আদর্শ ,নীতি- রীতি।  

আমাদের সমাজ একসময় ছিল বন্ধনে গাঁথা,
যেথায় ন্যায়ের আলোয় আলোকিত ছিল প্রতিটি গৃহ, প্রতিটি হৃদয়।
সেথায় বড়রা ছিলেন পথপ্রদর্শক, ছোটরা শ্রদ্ধাশীল।
কিন্তু আজ?  

আজ কেন সে সমাজ ভাঙে,  
স্বার্থপরতার ছলে?  
অন্যায় যত বেড়েই চলে,  
বিচার হারায় কলে।  

দেখছি ন্যায়বিচারের নামে চলছে প্রহসন।
অন্যায় বাড়ছে, কিন্তু ন্যায় কোথায়?
আমাদের বিচারব্যবস্থা কি সত্যিই নিরপেক্ষ?
নাকি তা স্বার্থান্বেষীদের পকেটে বন্দি?  

শিক্ষা আছে, মূল্যবোধ নাই,  
বিচার তারা ঠেকায়;
সত্যটাকে বন্দি করে;  
মিথ্যাটাকে ফোঁটায়।  

আমরা শিক্ষিত হচ্ছি,
কিন্তু শিক্ষা কি আমাদের মূল্যবোধ দিচ্ছে?
সত্য যখন পরাজিত হয়,
যখন মিথ্যা জয়ী হয়,
তখন সমাজের অস্তিত্ব সংকটে পড়ে।
আজকের সমাজে আমরা কাদের ক্ষমতায় বসাচ্ছি?  

রাজনীতির ছলনাতে আজ,  
চোর-বাটপার জেতে,  
দেশের মানুষের দুঃখ দেখে,
স্বার্থলোভে মেতে।  

দুর্নীতি, স্বার্থপরতা, অন্যায়—
এসব কি আমরা আর সহ্য করবো?
আমরা কি চুপচাপ বসে দেখবো;
আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে?
নাকি আমরা একতাবদ্ধ হয়ে সমাজকে পরিবর্তন করবো?  

সংঘবদ্ধ থাকতে হলে;  
দাঁড়াও ন্যায়ের পাশে,  
যারা চায় সমাজ খেতে,  
তাদের ফেলো ফাঁসে।  
  
একতা এলে আসবে জাগরণ,  
হবে নতুন সকাল,  
ন্যায়বিচারের সমাজ গড়ার,  
আসবে শুভকাল।  

চলো গড়ি আদর্শ জীবন,  
শপথ তুলি বুকে,  
সত্য পথে চলবো সবাই,  
ধ্বব্জা নেবো হাতে!  

আজ আমরা যদি একত্রিত হই,
যদি সত্যের পথে চলি,
তবে সমাজে সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।
আমাদের শপথ হোক— অন্যায়কে কখনোই প্রশ্রয় দেবো না,
দুর্নীতিকে রুখে দেবো, ন্যায়বিচারের আলোকবর্তিকা জ্বালাবো!  


ধন্যবাদ! জয় হোক ন্যায়বিচারের!