ভোরের আলোয় সূচনায় হল মাত্র,
লাল বাসে দল বেঁধে দুর্বার-২০ র যাত্রা।
গাইড টিচার দুইজন সাথি হলো দুর্বারের,
পটোগ্রাফির হিড়িক ,ধরে মুহূর্ত স্মৃতি বেলা।
গ্রুপ ছবি, একলা ছবি, ফ্রেমে মেলে সুখ-মুগ্ধতা,
ফটোগ্রাফারের ব্যস্ত হাতে স্মৃতি রাখে বারবার।
অনেক হল চল এবার যাত্রা,
হাসি-তামাশা, মিছিলগানের বুলি;
মিছিলে-মিছিলে গেয়ে উঠে সবার ছদ্মনামের কলি ।
গানের সুরে মাতোয়ারা, ওরা ;
সুচনা করে সবুজ, অপূর্ব, রামিম আর সুর দাতা অয়ন দাদা;
গানে মাতিয়ে রাখে কচি আর বডি যখন।
লম্বু, সোহাগ ,সজিব গানে দেয় ছন্দ,
পশুদা, রাশেদ হাসায় অনন্ত।
অন্যরা উপভোগে, মজা নেয় সুরে সুরে;
যানবাহনের দিকে হাসির আঘাত,
নাম ধরে ছদ্মনামে চলে মধুর প্রহসন নাটক।
হাসির ঝড়ে ভেসে চলে যানবাহনের সারাটা পথে,
পৌঁছালাম অবশেষে ওয়ালটনের গেটে,
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সেমিনারে পা রাখতে।
নিয়ম নীতির ধারায় চলে প্রশ্ন-উত্তর পর্ব,
শিখলাম অনেক কিছু, অনুভব করলাম মন ভরে।
স্ন্যাকস শেষে এবার কারখানা দেখার পালা,
নামাজ শেষে এল দুপুরের ভোজন,
পেটপুরে খেয়ে চলল গল্পের সঞ্চারন।
সিদ্বান্ত এলোঃ
ভাওয়াল উদ্যানে বিকেলের বিশ্রাম,
ছবি তোলা, হাসি-ঠাট্টায় পূর্ণ অভিরাম।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এল, মাগরিবের আয়োজন,নীড়ের পানে গন্তব্য চলা।
ঘরে ফেরার পথে বাড়ল নতুন মজার প্রেরণ।
ক্লান্তির লেশ নেই, সবাই উদ্দীপ্ত,
আসার পথে গান হল যাত্রার পথের দ্বিগুণ সুরে ,নতুন থেকে নতুন-তর।
মিছিলগানের শোর, উচ্চারণের ঝড়,
আমরা কারা?”সি এস ই!" তোমরা কারা? “সি এস ই!”
অবশেষে হলে ফিরি আনন্দ বেশ,
গাইড টিচারও পেলেন মুগ্ধতার রেশ।
দিনটি স্মৃতির পাতায় থেকে যাবে চিরকাল,
ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুরে ধরা পড়ল দুর্বার ২০’র জয়গান।
ওহে দুর্বার, স্মৃতির পাতায় জমে রেখো এই দিন,
মিলেমিশে কাটুক জীবন, গানে-গানে বাঁধা হোক ঋণ।
এই ট্যুরের গল্প যেন মনে থাকে চিরদিন,
দুর্বার ২০, তোমরাই হবে ভবিষ্যতের দিগন্তজাল।
বেছে থাকো দুর্বার ,সৃতির কোণে রয়ে যাবে তুমি অনন্তকাল।
বিদ্রঃ উল্লেখিত চরিত্র গুলো কাল্পনিক।