তুমি যে ভোরের সূর্য, আমায় আলো দাও,
ঘামে ভেজা শরীর নিয়ে সারাদিন কাটাও।
ফসলের মাঠে পায়ে পায়ে, পরিশ্রমে ভরা,
আমায় মানুষ করার স্বপ্নে জীবন করেছো কারা।

মাটির ঘরে বাঁশের বেড়া, তবু ছিল সুখ,
তোমার কষ্ট দেখেছি , দেখিনি কভু ভ্রুকুট।
তুমি বলেছিলে, “পড়ালেখা কর খোকা, জ্ঞান আনতে যা,
তোর হাত ধরে জ্ঞানের আলো আসুক এ পাড়ায়।”

আজ আমি দাঁড়িয়েছি স্বপ্নের চূড়া,
তোমার চোখে দেখি সুখের অশ্রুধারা।
তুমি গর্ব নিয়ে বলো, “আমার ছেলে জ্ঞান পেয়েছে,
মান পেয়েছে গাঁও।”

তবুও এলো সেই দিন, নিস্তব্ধ এক রাত,
তোমার নিঃশ্বাস থেমে গেল, পৃথিবী হলো মাত।
তোমার চোখে যে স্বপ্ন দেখেছিলাম একদিন,
আজ তা পূরণ করতে জীবন দিলাম আমি।

তোমার নামে গড়লাম একখানা লাইব্রেরি,
জ্ঞান হবে তোমার স্মৃতির জ্বলন্ত প্রদীপ।
তোমার জন্য বানালাম একখানা হাসপাতাল,
অসুস্থ প্রাণ পাবে এখানে নতুন প্রাণ।

একটি স্কুল করলাম তোমার নামে,
যেখানে ছেলেমেয়েরা শিখবে আদর্শ।
তোমার প্রিয় মক্তবটিও বানালাম,
যেখানে আল্লাহর নামে হবে প্রশান্তির পাঠ।

বাবা, তুমি হয়তো আর দেখছো না কিছু,
তবু আমি জানি, জগতের ওপারে,
তুমি আছো খুশি, আমার কাজ থেকে,
তুমি ভালবাসতে, বলতে না কভু অজান্তে।