তথ্যের মহাসাগর, এক গভীর বিস্তৃত ঢেউ,
বিগ ডাটা যেন সাগর, যার তীরে নেই কেউ।
অগণিত ডেটার তরঙ্গে ভাসে অজানা রহস্য,
নদী, স্রোত, প্রবাহ যেন তথ্যের গল্প বলে ভাসিয়ে দেয়।
কেন প্রয়োজন এই বিশাল তথ্যের ধারা?
বিশ্বকে বুঝতে, মানুষের মনের গভীরে,
অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, পরিবেশের সমস্যা কাটাতে,
বিগ ডাটার বিশ্লেষণ, সত্যকে প্রকাশ করে বুদ্ধিদীপ্ত উপায়ে।
কীভাবে চলে বিগ ডাটার কার্যক্রম?
তথ্য সংগ্রহ, প্রসেসিং, বিশ্লেষণ নিরলস কাজ,
যন্ত্রের মস্তিষ্কে থাকে হাইপার-প্রসেসরের গতি,
নির্ভুল পরিসংখ্যানের পথে চলে প্রতিটি মুহূর্ত, স্রোতের মতো তীব্র ও নিরবিচ্ছিন্ন।
বিগ ডাটার উপকারিতা—আলোকিত ভবিষ্যৎ
স্বাস্থ্যসেবায় উন্নতি, রোগ নির্ণয়ে সহায়ক হাত,
বাণিজ্যের উন্নতিতে, নতুন দিশার আভাস।
বিশ্বের পরিবেশ রক্ষায়, কাজে লাগে গবেষণায়,
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে, নতুন সম্ভাবনায় উদ্ভাসিত হবে আলো।
তবে আছে চ্যালেঞ্জের ঢেউও চিরকাল;
গোপনীয়তা নিয়ে দ্বিধা, নিরাপত্তায় ঝুঁকি সঙ্গী,
তথ্যের অতিরিক্ততায় তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা।
পরিসংখ্যানের ভারে, মেশিনগুলোও ক্লান্ত হয়,
কষ্টে ঢলে যায়, ভেঙে যায় মাঝে মাঝে স্রোত।
তুলনা করলে, বিগ ডাটা যেন মহাসাগরের জল
গভীরতা আমরা জানি না, তবু তা জীবন দেয়,
রঙে ভরা আলো, রহস্যে গড়া নতুন কল্পনা।
অজানা কোষে ভরা, গতি ও শক্তির উৎস,
মানুষের স্বপ্নে বিগ ডাটা আনে আশার এক নতুন পৃথিবী।
ভবিষ্যৎ কি অপেক্ষায় এর উদ্ভাবনের পথে?
যতদূর যাবে বিজ্ঞান, তথ্যের সমুদ্রে,
বিগ ডাটা হবে পৃথিবীর নিত্যসাথী,
বিশ্বকে নতুন দিশায় এগিয়ে নিয়ে যাবে আলোর গতি।